কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শীতকালীন সবজি চাষে ব?্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ভাল হচ্ছে সবজি ফলন। সার ও কীটনাশক সহজলভ?্য হলে আরো বেশি লাভ হত বলে জানায় কৃষকরা। কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে দাউদকান্দি পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। মাঠজুড়ে আছে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা ও বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। নিড়ানি, কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ প্রদানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবার কোথাও কোথাও আগাম সবজি বিক্রি করছে অনেক চাষি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটিসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। উপজেলার তালতুলি, চেঙ্গাকান্দি ও কদমতলী মোহাম্মদপুর,জিংলাতলি ও সুন্দলপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা শীতের সবজি খেতে কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কীটনাশক দিচ্ছেন। বেড়ে উঠছে শাক-সবজির চারা। অনেকেই ইতিমধ্যে মুলা, মুলা শাক, লাউ ও লালশাক বিক্রি শুরু করেছেন। তালতলি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছর ৪ হাজার ফুলকপির চারা কিনেছি ১ হাজার ৪০০ টাকায়। এ বছর এক হাজার চারার দাম ২ হাজার টাকা। ৪ হাজার চারা কিনেছি ৮ হাজার টাকা দিয়ে। আলমগীর আরও বলেন, প্রতিবছর তিন-চার কানি জমিতে সবজি চাষ করতাম। এ বছর সার ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় ৩১ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। তবে বাজারে এ বছর সবজির দাম অনেক বেশি। আশা করি চাষাবাদের খরচ উঠবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, এ বছর শীতের শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে টমেটো ১২০ হেক্টর, লাউ ৭০ হেক্টর, লালশাক ৫০ হেক্টর, মুলা ৩৫ হেক্টর, বেগুন ১৫ হেক্টর ও শিম ৭০ হেক্টর। এ ছাড়া ১৪ হাজার ৭ শত ৬০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদী আবাদ করা হয়েছে।