জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের ভিকনি গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন(৩৭), তিনি তার নিজ উদ্যোগে বাড়ির সাথেই জমিতে বিশ কাঠায় কমলা চাষ করে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছে বিভিন্ন এলাকাবাসী এর ফলন, আকর্ষণীয় রং ও স্বাদের জন্য। জানা গেছে ,তিনি ঢাকায় সাভারে দীর্ঘদিন তার পরিবারসহ বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় টেলিকমের দোকান ছিল। কোরনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়ায় ২০২০ সালে তার নিজ গ্রামে ফিরে এসে তিনি ইউটিউব চ্যানেল দেখে সাইট্রাস জাতীয় চাষে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, শাইখ সিরাজ স্যারের অনলাইনের মাধ্যমে তিনি কিছু পরামর্শ পেয়েছিলেন। ইউটিউব চ্যানেলের প্রশিক্ষণে ও শাইখ সিরাজ স্যারের ভিডিও দেখে প্রথমে ২০২০সালে প্রথমদিকে তিনি তার স্ত্রীর সুমির সাথে পরামর্শ করে কমলার চারা( বারি কমলা-২) রোপন করেন। বিশ কাঠা জমিতে ১৩০টি কমলার চারা রোপন করেন তিনি। এখন প্রত্যেক গাছেই সর্বনি¤œ ১৫ কেজি সর্বোচ্চ ৪০ কেজি কমলা উৎপাদন হচ্ছে। তিনি প্রত্যাশা করেন এই বিশ কাঠায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মন কমলার ফলন হবে। প্রতি কেজি কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। এই প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত তিনি প্রায় ৬০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। আরো ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা কমলা বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি কমলা চাষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, মাত্র ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আমি ৫০ বছরের অধিক ফল পাবো এই কমলার বাগান থেকে। দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার প্রতিনিধি তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,সমাজের বেকার যুবকেরা সোনার হরিণ নামক চাকরি পিছে না ছুটে তারা নিজ উদ্যোগে ফল চাষ করলে অনেক লাভবান হবে। আক্কেলপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কমলা চাষীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আরো ভালো ফলনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান।