আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, প্রধান অর্থনীতির ধীরগতির কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দু’শতাংশের নিচে নেমে যেতে পারে। যা সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় এবং ২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়। রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলো সঙ্কটে পতিত হয়। এই যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির সাথে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং চীনে মন্দা পরিস্থিতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত বৃহস্পতিবার ২০২৩ সালের জন্য তহবিলের সাম্প্রতিক প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে রয়টার্স নেক্সট কনফারেন্সে জর্জিয়েভা বলেন, প্রবৃদ্ধি আরো মন্থর হয়ে দু’শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সাম্প্রতিকতম সূচকগুলো দেখি, আমরা উদ্বিগ্ন যে এই সম্ভাবনা আরো কিছুটা বাড়তে পারে।’ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আশা করছে, এই বছর বা আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সঙ্কুচিত হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীন স্থবির হয়ে পড়বে। জর্জিয়েভা বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চীনে একযোগে মন্থরতার বিষয়টি উদ্বেগজনক’ এবং চীনের মন্থর প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এটি উদ্বেগজনক যে বিশ্ব চীনের ওপর ভরসা করেছে প্রবৃদ্ধির জন্য। যেখানে ‘বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ’ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সম্প্রসারণ থেকে আসছে। বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্ব অর্থনীতি ২০২০ সালে তিন দশমিক তিন শতাংশ এবং ২০০৯ সালে এক দশমিক তিন শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।