ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে ও এর আশেপাশের এলাকায় অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে গরু ও ছাগলের মাংস। এতে ওই সব এলাকার পরিবেশ ব্যাপক দূর্গন্ধময় হয়ে পড়ছে। দিনের বেলায় এসব গরু ছাগলের জবাইকৃত আবর্জনা ও মলমূত্র রাস্তা ঘাটে পড়ে থেকে সেখান থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি পথচারীদের চলাচলে মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি করছে। অনেকে নাকে রুমাল দিয়ে ওই সব এলাকা অতিক্রম করতে বাধ্য হচ্ছেন। জবাইকৃত এসব গরু ছাগলের মাংস রাস্তার পাশেই উন্মুক্ত স্থানে বিক্রেতারা দেদারছে বিক্রয় করছেন। বিশেষ করে নতুন বাজারে গরু ও ছগলের মাংশ বিক্রি হচ্ছে খুবই অস্বাস্থকর পরিবেশে, যা দেখলে কোন ক্রেতাই মাংশ ক্রয় করবে না। বিক্রেতারা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাংশ বিক্রি করে তাদের দোকান বাশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে চোলে যান। কিন্তু ঘিরে রাখা বেড়ার মধ্যে কুকুর গিয়ে মাংশ কাটা কাঠের গুড়ি চেটে চেটে খেয়ে থাকে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে একাধিক কুকুর কাঠে লেগে থাকা মাংশ ও রক্ত কুকুরে চেটে খায়। নতুন বাজারে রন নামের এক ছাগলের মাংশ ব্রিক্রেতার দোকানে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাংশ কাটা খেটে বা গাছের গুড়ি কুকুর চেটে চেটে খাচ্ছে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে অনেকের। আবার অনেক সময় কুকুরকে সেখানে ঘুমিয়ে থাকতেও দেখা যায়। এছাড়াও স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ, তারা ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই মাংস বিক্রির জন্য গরু ছাগল জবাই করা হয়। সেগুলো রোগাক্রান্ত কিনা তাও তাদের দেখার বা জানার কোন সুযোগ থাকে না। সম্পূর্ণটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে তাদের মাংস কিনতে হয়। পশু গুলোও প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। রাতে মাংশ কাটা কাঠের গুড়ি কুকুরের চেটে খাওয়ার দৃশ্য দেখে ক্রেতা ও সাধারন মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। মাংস বিক্রেতা এভাবেই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মাংস বিক্রি করে চলেছে প্রতিনিয়ত।মাংশ কাটার কাজে ব্যবহৃত এ সব গাছের গুড়ি বা খেটে মাংশ বিক্রি শেষে বিক্রেতারা ভালো ভাবে না ঢেকে রেখেই চোলে যায়। আবার পরের দিন সকালে এসে ওই কাঠের গুড়ির উপর রেখে মাংস কেটে বিক্রি করতে শুরু করে। যে কারনে ঐ গুড়ি বা খেটের আশপাশে কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এভাবে মাংশ বিক্রেতারা সাধারন মানুষকে যা খাওয়াচ্ছে তাতে করে তাদের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব দেখার জন্য কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্দৃষ্ট তদারকি কর্মী থাকলেও অদৃশ্য কারনে তারা নীরব থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে। কালীগঞ্জ নতুন বাজারে মাংস বিক্রেতা রন জানান,আমরা খেটে ঢেকে রেখেই যায়।আর সকালে এসেই চাপাতি কিংবা ছুরি দিয়ে খেটে কেকে পরিষ্কার করে তারপর কাজ করা হয়। কালীগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। তবে আমি ব্যাপারটি দেখব। কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিপন্থী উপায় অবলম্বন করে মাংশ বিক্রেতাগণ যদি মাংস বিক্রি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।