গত এক সপ্তাহে শেরপুরে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর দুটি ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের পক্ষ হতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১৪। এসময় র্যাব জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার মুনকান্দায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করার মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর কালিয়াকৈর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, গত ছয় মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ধর্ষিতা শিশুটির মা। এদিকে গত ১লা ডিসেম্বর দুপুরে ৭ বছরের ওই শিশু মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে রিক্সা চালাতে যায় বাবা। সে সুযোগে পাশ্ববর্তী বাড়ীর দুই সন্তানের জনক আব্দুল কুদ্দুস শিশুটিকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরে শিশুকে গুরতর আহত অবস্থায় শেরপুর জেলা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় সেদিন রাতেই ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে শেরপুর সদর থানায় ধর্ষক আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করে। এরপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর কালিয়াকৈর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে একই দিন শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে চুরি হওয়া ১৫ লক্ষ টাকা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২ টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এরা আন্তজেলা চক্রের সদস্য। গত একমাসে তারা দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক কলেজে চুরি করছে। গত ২৪ নভেম্বর শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে চুরি হওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করি। এরপর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতে সাতক্ষীরায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চুরির সময় চোর এরশাদ আলী(৩৬) ও হাসান আলী(৩২)কে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশ সুপার মো.কামারুজ্জামান আরো জানান, আটককৃত চোর এরশাদ ও হাসান কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী। তারা নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বাসিন্দা। পুরো দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক কলেজের কম্পিটার যন্ত্রাংশ চুরির পর সেগুলো তারা ঢাকায় বিক্রি করতো। এছাড়াও ঢাকার যাত্রাবাড়ির কদমতলীতে তাদের নিজস্ব কম্পিউটার সার্ভিসিংয়ের দোকানও রয়েছে।