দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৫০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়নের দেওগ্রাম (ভুতগাড়ি) গ্রামের মাসুদ রানার ১২ বিঘার উপরে তিনটি পুকুরে এই ঘটনা ঘটে। বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাসুদ রানার পুকুরে সোমবার দিবাগত রাতে কে বা কারা শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে। এতে পুকুরে থাকা রুই, কাতল, মাগুর, চিতলসহ দেশি প্রজাতির সব মাছ মারা যায়। মঙ্গলবার সকালে মাসুদ রানার ছেলে সজিব পুকুরে মাছ দেখতে এলে, সে দেখে পুকুর থেকে গ্রামবাসী এবং রাস্তার লোকজন মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সে পুকুরে এসে দেখে সব মাছ মরে ভাসছে। পরপর তিনটি পুকুরে গেলে একই চিত্র সে দেখতে পাই সে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাসুদ এই তিনটি পুকুরে মাছ চাষ করে সে তার সংসার চলায়। স্থানীয় আব্দুল বারিক সরদার বলেন, দুনিয়াতে মানুষ নাই, মাছের সাথে একেমন শত্রুতা? মাছ চাষ করেই তাদের জীবন চলে। এভাবে কে তাদের ক্ষতি করলো, পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলো। মাসুদ রানার স্ত্রী সেলিনা বেগম কান্নাকন্ঠে বলেন, আমার এতো বড় সর্বনাশ কে করলো। খায়ে না খেয়ে ঋণ দেনা করে তিনটা পুকুরে মাছ চাষ করেছি। প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ, সব মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঋণ দেনা শোধ করবো কি করে? আমি এর বিচার চাই? মাসুদ রানা বলেন, সকালে পুকুর দেখতে ছেলেকে পাঠায়। ছেলে দেখে মানুষ পুকুর থেকে মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সবাই হরিলুটের মতো মাছ নিয়ে যাচ্ছে। পুকুরে একটি মাছও বেঁচে নেই। বিভিন্ন এনজিও’র কাছে ঋণ নেওয়া আছে, আমি এখন কিভাবে ঋণ শোধ করবো? এবিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, ‘পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে কে বা কারা মাছগুলো নিধন করেছে। ফোনে একজনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।