কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশেই রাখা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তাকে বাদ দিয়েও দুর্দান্ত ছিলো পর্তুগিজরা। ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ৭৩ মিনিটে যখন সিআর সেভেনকে মাঠে নামানো হয়, তখনও পর্তুগাল এগিয়ে ছিলো ৫-১ গোলের ব্যবধানে।
জয় যখন পর্তুগিজদের হাতের মুঠোয়, তখন প্রায় নিয়মরক্ষার্থে খেলা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে মাঠে নামার সুযোগ পান রোনালদো। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সমর্থকদের মন খারাপ; কিন্তু এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল বিস্ফোরক গুঞ্জন। রোনালদো নাকি প্রথম একাদশে থাকতে না পারাটা মানতেই পারেননি। তার জায়গায় ২২ বছরের র্যামোসের অন্তর্ভুক্তিকে মেনে নিতে পারছেন না মন থেকে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে তিনি হুমকিও দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন! ফিরে যাবেন দেশে! এক পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমে চা ল্যকর এ দাবি তোলা হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই এরপর প্রশ্ন উঠেছে, রোনালদো বড়তারকা হলেও তিনি কি এভাবে নিজেকে দলে রাখতে চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারেন? যতই তিনি পর্তুগালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হোন, কোচের সিদ্ধান্ত মানতে তিনি বাধ্য।
এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলল পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিলো, এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়া। এক বিবৃতিতে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ফেডারেশন এটা পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চায় পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনো পর্যায়েই জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা কখনোই বলেননি। প্রতিদিনই দেশের জন্য পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা এবং বেশি গোল করা এই খেলোয়াড় নতুন নতুন কীর্তি গড়ছেন। সেটাকে সম্মান দেখানো উচিত।’ এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ রোনালদোও। তিনি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, ‘বাইরের শক্তি তাদের দলের একতাকে ভেঙে দিতে চাইলেও সফল হবে না। স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাবে পর্তুগাল।’ তার আরজি, ‘ভরসা রাখুন আমাদের উপর।’
উল্লেখ্য, ৬-১ গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে পর্তুগাল। হ্যাটট্রিক করেন গনকালো র্যামোস; কিন্তু এমনও গুঞ্জন শোনা যায়, র্যামোসের শট প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে যেতে দেখে নাকি কার্যতই হতাশ দেখাচ্ছিল রোনালদোকে। বরং সমবয়সী পেপের গোলের পরে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে নয়া গুঞ্জনে বাড়ল বিতর্কের রেশ। যা উড়িয়ে দিলেন খোদ রোনালদোই।