গায়ে ব্রাজিলের পতাকার রঙ্গের গেঞ্জী। সেখানে লেখা ব্রাজিল। মাথাও ঢাকা ব্রাজিলের পতাকা দিয়ে। তবে দুই গালে আঁকা আর্জেন্টিনার পতাকা। আর পিঠে ঝোলানো নিজ দেশ বলিভিয়ার পতাকা। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ম্যাচের আগে তিনি ছিলেন খেলা দেখতে আসা দর্শকদের ক্যামেরাবন্দী হওয়ার প্রিয় বস্তু। তবে কোনোভাবেই নিজের নাম বললেন না। বারবারই মজা করে উল্লেখ করলেন, আমার নাম আমেরিকা। আমি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসেছি। নাম আমার মিস আমেরিকা।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের সময় কেউ আর্জেন্টিনার পতাকা, কেউবা ডাচদের পতাকার সাথে মিল রেখে পোশাক পরে মাঠে ঢুকছে। কিন্তু এই বলিভিয়ানের গায়ে ব্রাজিলের পতাকা কেন?
এ ব্যাপারে বলেন, আমি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের। আমার দেশ ১৯৯৪ সালের পর আর বিশ্বকাপে খেলেনি। তাই বিশ্বকাপ এলে আমাদের মহাদেশের যে দেশই খেলে তাদের সমর্থন করি। উরুগুয়ে, ইকুয়েডরের বিদায়ের পর ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সাফল্য কামনা করি। লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময়ই এই সুন্দরী জেনে গেছেন অপর কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ব্রাজিলের হেরে গেছে। ভগ্ন হৃদয়ে জানান, ব্রাজিলের হারে খুব কষ্ট পেয়েছি। এখন চাই আর্জেন্টিনা যেন না হারে। আর্জেন্টিনাই আমাদের শেষ ভরসা। ডাচদের কাছে অবশ্য হারেনি মেসিরা। ফলে এই বলিভিয়ানের স্বপ্ন এখনো টিকে আছে।