বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ যে ধরনের অস্বাভাবিক ও মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য নয়। তারা আমাদের দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবের কক্ষসহ সবকিছু ভাঙচুর ও অভিযান চালিয়ে তছনছ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলিডিপি নেতারা বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শনে এলে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, পুলিশ নিজেরাই ব্যাগ নিয়ে বোমা রেখে বিএনপি অফিসে বোমা থাকার নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই অসুস্থ। নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা আমাদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন, তাদের স্বাগত জানাই।
তিনি নেতাকর্মীর অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ৭ ডিসেম্বর আমাদের দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ আক্রমণ ও অভিযান চালিয়ে তছনছ করেছে। অনেকেই বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ হওয়ার কথা, কিন্তু আগেই লোকজন কেন জমায়েত হলো? আসলে এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করে না। কারণ, অতীতে আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে তারা নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। বাধা দিয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই নেতাকর্মীরা আগে থেকেই জড়ো হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে আসা ঢাকার বাইরের ৯৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতি আলী আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাসার দারোয়ানকে আটক করেছে। এমনকি বাসার সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে। এ ছাড়া আজিজুর রহমান মোসাব্বিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে তার স্ত্রী নাশতা দিয়ে এসেছেন। পরদিন থেকে তার কোনো সন্ধান মেলেনি। নেত্রকোনা আতাউর রহমানের কোনো সন্ধান মিলছে না। তারা ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এই সরকার সভা-সমাবেশ করার পরিবেশ দিচ্ছে না। তারা সব সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে। বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে। কারণ এই সরকার গণতন্ত্রকে কবরে নিয়ে গেছে। কোনো দলের কার্যালয়ে এমন অভিযান ও লুটপাট কখনো দেখিনি। আসলে সরকার অস্থিরতায় ভুগছে। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।