কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এবার রবি মৌসুমে দিগন্তজুড়ে হলুদ সাজে সরিষার ব্যাপক চাষে কৃষক খুশি। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে এমনকি সার, তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশী লাভের আশায় গ্রামীণ তৃর্ণমূলের কৃষকরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষে মনোনিবেশ করেছেন। এ বছর বন্যা কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উচুনিচু সকল শ্রেনীর জমিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর রবি-মৌসুমের শুরুতেই সরকারি প্রনোদনা বীজ সার কৃষকের মাঝে নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে দেওয়ায় সঠিক সময়ে সরিষা চাষ করতে পেরেছে কৃষক। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলার মাদারটিলা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন, খয়বর রহমান, জান্নাত আলী ও সবুর আলীসহ অনেকে বলেন, আমাদের জমি গুলো নিচু হওয়ায় আমরা আমন ধানের চাষ করতে পারিনা। তাই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে সরিষার চাষ করি। তারা আরোও বলেন, সরিষার জমি মাত্র দুটি চাষ করে দিয়ে সরিষা রোপণ করা যায়। সরিষার কোন আগাছা পরিষ্কার করতে হয়না। অল্প খরচে লাভ অনেক বেশি হয়। তাই আমরা প্রতি বছর যার যেমন জমি আছে সব জমিতেই সরিষার চাষ করে থাকি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক আবু তাহের, কৃষক আনছার আলী বলেন, সরিষা চাষে খরচ অনেক কম লাগে লাভ বেশি হয় যার ফলে সরিষা চাষ করা হয়। সরিষা বিক্রি করে ওই টাকায় সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বোরো ধান রোপন করতে পারি। তিনি আরও বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, ভালো সরিষা হলে ১২ থেকে ১৩ মণ পর্যন্ত সরিষা হয়ে থাকে। কাচাঁ সরিষা বাজারে প্রতি মন ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এতে আমরা ভালই লাভবান হয়ে থাকি। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কৃষকরা এই ফসলটাকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাষাবাদ করে থাকে। এবার আমাদের রৌমারী উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৪ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার সরিষার চাষ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত আবওহায়া অনুকুলে আছে শেষ পর্যন্ত এরকম থাকলে কৃষকরা সরিষার ফলনও অনেকটা ভালো পাবেন।