স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করেছে। বর্তমানে প্রায় সবকিছুর জন্যই অ্যাপ আছে। ব্যবহারকারীভেদে অ্যাপ ডাউনলোডে ভিন্নতা রয়েছে। কারও পছন্দ সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ, কারও বিনোদনের অ্যাপ, আবার কেউবা পছন্দ করেন গেমিং অ্যাপ।
কোনও ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে অনেক বেশি অ্যাপ থাকলে একসময় দেখা যায়, সেই স্মার্টফোনটি স্লো (ধীরগতি) হয়ে পড়ে, ঠিকমতো প্রয়োজনীয় কাজ করা যায় না। এ পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করতে হয়। এক্ষেত্রে এমন সব অ্যাপ আনইনস্টল করা প্রয়োজন যেগুলো সবসময়ই চলতে থাকে। অর্থাৎ, আপনি একটি অ্যাপ না চালালেও যে অ্যাপটি নিজে থেকেই বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে এমন অ্যাপ আগে আনইনস্টল করা ভালো।
অনেকে জিজ্ঞেস করেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কী পরিমাণ অ্যাপ থাকা ভালো? আসলে এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এভাবে দেওয়ার সুযোগ নেই। আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কী পরিমাণ অ্যাপ ডাউনলোড বা ইনস্টল করেছেন সেটা গুরুত্বপুর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো- যে অ্যাপগুলো ইনস্টল করা হয়েছে সেগুলোর আকার কত বড় এবং কতটা জটিল তাদের কার্যপ্রক্রিয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ফেসবুক অ্যাপ বা হাই কোয়ালিটি গেমিং অ্যাপ একটি নোট টেকিং অ্যাপের চেয়ে অনেক বেশি জায়গা দখল করবে। পাশাপাশি সেগুলোর কার্যপ্রক্রিয়াও জটিল।
কাজেই ঠিক কতটি অ্যাপ আপনি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রাখতে পারবেন বা কতটি রাখা ভালো এমন কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। মনে রাখতে হবে, যে কয়টি অ্যাপ রাখলে আপনার স্মার্টফোন ভালোভাবে চলে, গতি হারায় না ঠিক ততটি অ্যাপই রাখা উচিৎ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কোনও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মেমরির অন্তত ১০ শতাংশ খালি রাখতে হবে। তাহলে সেই ডিভাইস ভালোভাবে কাজ করবে। ফলে মেমরির অন্তত ১০ শতাংশ খালি রেখে আপনি যত ইচ্ছা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট অ্যাপ ইনস্টলের পর স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেলে সেটি আনইনস্টল করতে হবে।
আইফোনের ক্ষেত্রে এই হিসাব প্রযোজ্য হলেও সেখানে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আপনি আপনার আইফোনে শত শত অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মত হলো- আইফোনে ৫০০ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট জায়গা খালি রেখে অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত। এতে আইফোন খুব ভালোভাবে কাজ করবে।
সূত্র: লাইফওয়্যার, ইন্টারনেট।