ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুদখোরের বেধড়ক মাধরের শিকার হয়েছেন অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধু। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৃগালি গ্রামে। মারধরে আহত আকলিমা আক্তার(৩০)কে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় সুদখোরসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পেয়ে বহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসাধীন গৃহবধু আকলিমা আক্তার বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। পাশে বসে রয়েছে তাঁর স্বামী মানিক মিয়া। তিনি জানান, জরুরী টাকার প্রয়োজনে প্রায় আটমাস আগে মৃগালি গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাহেরা বেগমের(৫০) এর কাছ থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা সুদে ৫০ হাজার টাকা নেন। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ আগে সুদে আসলে সকল টাকা পরিশোধ করে দেন। কিন্তু আরও এক মাসের অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন তাহেরা। তার এই দাবি অযৌক্তিক বললে তাহেরা বেগম অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দেখে নেওয়ার কথা বলে চলে যায়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাহেরা তার স্বামীকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তিন হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ অবস্থায় নিজেদের সম্মানের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে রাজী হয়ে কিছুদিন সময় দেওয়ার জন্য বললে তাহেরা রেগে স্বামী আব্দুর রহমান তার দলবল নিয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা আকলিমাকে টেনেহিঁচড়ে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে লোহার রড দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আকলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিহ্নিত সুদখোর তাহেরা বেগমের সুদের টাকা দিতে না পারায় গত ২৬ মে মহেষপুর গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে হারুন মিয়া আত্মহত্যা করে। এমনকি মৃগালি গ্রামের ছমক আলীর ছেলে রশিদ আলীকে সুদের টাকার জন্য নির্যাতন করলে তিনিও আহত অবস্থায় মারা যান। দুইটি ঘটনারই থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো কাজে আসেনি বলে দাবি করেন মানিক মিয়া। এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।