শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

গ্রামীণফোনের শেয়ারে নেই ১১ হাজার কোটি টাকা

খবরপত্র অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় মূলধনী কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দরপতনের কারণে সার্বিক শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। আর এ জন্য করোনাভাইরারেস আতঙ্ককে দায়ী করছেন তারা।

গত বছরের ডিসেম্বরের চীনে প্রথম করোনাভাইরাস আঘাত হানে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ।

বাংলাদেশ প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রম শনাক্ত হয় মার্চের ৮ তারিখে। তবে এর আগেই বিশ্ব শেয়ারবাজারের পাশাপাশি বাংলাদে্শের শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়ে যায়। কমতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দাম। আর ৮ মার্চের পর দফায় দফায় শেয়ারবাজারে ধসের ঘটনা ঘটে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কমা শুরু হয় ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখের পর থেকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি টেলিযোগাযোগ খাতের এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩১৯ টাকা ৬০ পয়সা। যা টানা কমে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে ২৫ মার্চ দাঁড়ায় ২৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম কমে ৮০ টাকা ৮০ পয়সা। এতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ হাজার ৯১০ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক সদস্য বলেন, ‘গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় মূলধনের কোম্পানি। সূচকের ওপর এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমা অথবা বাড়ার বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে মার্চজুড়েই শেয়ারবাজারে একের পর এক বড় দরপতন হয়েছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম বড় অঙ্কে কমে যাওয়া এই দরপতন তরান্বিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বকেয়া নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতন তরান্বিত করেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, আদালতের নির্দেশ মেনে ২৩ মার্চ গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা দেয়। এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমা শুরু হয়। আর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেই পতনের মাত্রা আরও বেড়েছে।’

১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি। কোম্পানিটির এই শেয়ারের ৯০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। এ হিসাবে দরপতনের কবলে পড়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা হারিয়েছেন ৯ হাজার ৮১৯ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির বাকি শেয়ারের মধ্যে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এ হিসাবে গ্রামীণফোনের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিদেশিরা হারিয়েছেন ৪২২ কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ৪৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com