মানব কল্যাণ, মনুষ্যত্বের মহাধর্মকে সমুন্নত রাখার সংকল্পে ও সমাজে সৌভ্রাতৃত্ব সংস্থাপনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী ঘোষগাঁতী শ্রী শ্রী বলরাম জিউ মন্দিরে আয়োজিত ৫ দিনের ৪০ প্রহরব্যাপী ৬৯তম অখ- মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান বুধবার ভোর ৬ টায় শেষ হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সনাতনধর্মের হাজার হাজার ভক্ত ও অনুরাগীরা যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা ১ মিনিটে “মঙ্গলদ্বীপ জ্বেলে অন্ধকারে আলোয় দু’চোখ ভরো প্রভু” এই শান্তির অভয় বাণী ও গীতাপাঠের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গুরু সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজন শ্রী রতন চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীবলী ইসলাম কবিতা, সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সন্তোষ কুমার কানু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সুজিত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রতন সরকার, মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভাস্কর কুন্ডু অনুষ্ঠান সঞ্চালক শ্রী শ্যামল কুমার সাহা সহ অনেকে। মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর কুন্ডু বলেন, ৪০ প্রহরব্যাপী লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো ভক্ত ও অনুরাগীদের আগমন ঘটেছে মন্দিরে। তাদের পদভারে মন্দির অঙ্গন যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। অখ- মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেয় দেশের বিখ্যাত ও বরেণ্য কীর্তনিয়া দল-এদের মধ্যে রয়েছে শ্রী শ্রী বলরাম সম্প্রদায়-ঘোষগাঁতী, জয়গুরু সনাতন সম্প্রদায়-ফরিদপুর, শ্রী গৌরাঙ্গ সম্প্রদায়-খুলনা, বন্ধু বিহারী সম্প্রদায়-ঢাকা, শচীনন্দন সম্প্রদায়-কুষ্টিয়া, শ্যামা সম্প্রদায়-মাগুড়া, ভুবন মঙ্গল সম্প্রদায়-সিরাজগঞ্জ। লীলা মাধুরী পরিবেশন করেন উত্তম কুমার সাহা-বগুড়া, প্রতিমা, রানী (টপি)-বগুড়া, দ্বিদল কৃষ্ণ রায়-বগুড়া।