আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপিই এ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। তাই তাদের লজ্জা থাকলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কর্মসূচি দিত না। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কর্মসূচি দেয়, ১/১১ এর জন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদের কারণেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে ছিল, আছে, থাকবে। রাজাকার-আলবদরদের আর এ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। মাহবুব উল আলম হানিফ গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকার-আলবদররা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কেউ চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ। রাজপথ উত্তপ্ত করতে চাইলে জবাব দেয়া হবে। প্রতিহত করা হবে। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল অপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি বাংলাদেশের মানুষের কথা, দেশের স্বাধীনতার কথা ভুলে যান নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাকে হত্যা করে। যারা স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আবার বিএনপি ষড়যন্ত্র শুরু করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।