পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকাশাচালক মামুনকে গুলি করে হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি। শনিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরদী শৈলপাড়ার মৃত নুর উদ্দি নুরুর ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন(৩৫), শৈলপাড়া বার কোয়াটারের কাঠ মিস্ত্রি মোঃ আকরাম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম(২৬) ও একই এলাকার মোঃ শহিদুল ইনলামের ছেলে সাকিবুল ইসলাম সাকিব(১৭)। তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারী রাতে ঈশ্বরদীর পশ্চিম টেংরি এলাকায় ভুটভুটি ও পিকআপের সংঘর্ষে পিকআপের সামনের গ্যাস ভেঙে যায়। তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে আনোয়ারের শ্যালক সুজনের কথা কাটাকাটি হয়। সুজন ফোনে তার দুলাভাই আনোয়ার উদ্দিনকে জানালে তিনি তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আনোয়ারের গুলিতে রিকশাচালক মামুন মারা যায়। ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত তিনদিনে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া থেকে আনোয়ার, পাকশী থেকে ইব্রাহিম ও রাজশাহীর চারঘাট থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আনোয়ার কে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে ঈশ্বরদী থানাধীন শৈলপাড়া (বার কোয়ার্টাস) এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী পিস্তল (৭.৬৫ এমএম) এবং ০৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী ইব্রাহিম আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার এর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় চুরি, মাদক ও মারামারির চারটি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী পাবনায় যোগদান করার পর থেকে চাঞ্চল্যকর সকল হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আস্থ্যা অর্জন করতে পরেছে। বিশেষ করে আটঘরিয়ায় চরমপন্থি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার পর থেকে সন্ত্রাসীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করতে পেরেছে।