পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা স্বত্বেও ইটভাটা স্থাপন করাসহ বিভিন্ন কারনেয়ে নাটোরের ৩ টি ইটভাটাকে মোট ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর এনফোর্সমেন্ট শাখার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট ফয়জুন্নেছা আক্তার ওই আদেশ দেন। সেই সাথে মোহরকয়া এলাকার একটি অবৈধ ইট ভাটাসহ জরিমানাকৃত ইঁটভাটাগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নাটোরের লালপুরের তিনটি ভাটায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। এ সময় নাটোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট ফয়জুন্নেছা আক্তার জানান, ইটভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ র ৬ ও ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স না থাকা, অবৈধভাবে মাটি সংগ্রহ ও জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করা এবং জিকজ্যাক চুল্লী না থাকায় ওই জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত ভাটাগুলো হচ্ছে লালপুরের মঞ্জিলপুকুর গ্রামের সবুর আলীর এম কে এম ভাটায় ৫ লাখ টাকা , একই এলাকায় হাফিজুল ইসলামের জে এস বি ভাটায় ৭ লাখ টাকা এবং মাধবপুর পালপাড়া এলাকার মাসুদুর রহমান সান্টুর এ্ইচ বি আর ভাটায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া লালপুরের চর এলাকায় অপর একটি ড্রাম ভাটাসহ ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল সোমবার নাটোর সদরে দিনব্যাপী সেনভাগ ও পন্ডিতগ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা এবং স্কুলের এক কিলোমিটারের মধ্যে ভাটার অবস্থান থাকায় পাঁচটি ইট ভাটা মালিককে ১৯ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।