সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম। ২০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তন ও গণ উন্নয়কেন্দ্রের তিন কর্মী ইউএনও’কে বাল্যবিয়ের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। এরপর তিনি বিয়ে দেওয়া বন্ধ করেন। এনজিও কর্মী রোখসানা খাতুন, সুমন আহমেদ ও অর্বিন্দ বর্মন বলেন, বারুহাস ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলের সঙ্গে ঐ ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাসরিন বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য তাদের বিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ইউএনও মো. মেজবাউল করিম দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, এনজিও কর্মীরা বিয়ে বাড়িতে অবস্থান করে আমাকে খবর দেন। পরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। একই সঙ্গে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঐ ছাত্রীর বিয়ে দেবেননা মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। বর পক্ষকেও বাল্যবিয়ে না করার জন্য শতর্ক করা হয়েছে।