সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে কার্যক্রম। এই অফিসের মধ্যে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ শহিদুল ইসলাম, ফিরোজ আলী, সিরাজ মাহমুদ, মন্জুরুল ইসলাম, রুবিনা খাতুন, আছমা খাতুন ও মিরা খাতুন বলেন, অফিস ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে বহু আগেই। ছাদ ও দেয়াল থেকে বালু আর খোয়া পড়তেই থাকে। বেশিরভাগ জানালা, দরজা ভাঙা। একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ ও দেয়ালের ফাটল দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ে। বৃষ্টির সময় লেখালেখি ফেলে নিরাপদ স্থানে দাড়িয়ে থাকতে হয়। ভাঙা দরজা, জানালা দিয়ে হু হু করে কনকনে ঠান্ডা বাতাস আসে। বিশেষ করে তারা আক্ষেপ করে বলেন, ‘ভবন ধ্বসে আমরা মরার পড়ে আপনারা নিউজ করে দিয়েন!’ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কেরানি আব্দুস সালাম বলেন, আশির দশকের নির্মিত ভবন এটি। এই ভবনে এজলাস, খাস কামরা, ২টি রেকর্ড রুম ও ৪টি নকলনবিশদের বসার কক্ষ আছে। সাবরেজিস্টার, কেরানি, মহরার, টিসি, পিয়ন, নাইট গার্ড, নকলনবিশসহ ২৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই অনিরাপদে রয়েছি। এদিকে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অফিসের দিনগুলোয় আমাদের সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যেতেই হয়। ঐ অফিসে ঢোকার পড়ে ভাঙাচোরা অবস্থা দেখে এক ধরনের ভীতি কাজ করে মনের মধ্যে। জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসটির নতুন ভবন নির্মাণ করা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, ৬টি কক্ষে কাজ করছেন সাবরেজিস্টারসহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। অফিসের এজলাসসহ সব কক্ষের দেয়াল ও ছাদে ফাটল। ছাদের পলেস্তারা নষ্ট হয়ে খোয়া ও বালু খসে রড বেড়িয়ে পড়েছে। ভাঙা জানালাগুলোতে বস্তা কেটে লাগিয়ে বাতাস আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এজলাসের ভেতরে মেঝেতে ইঁদুর মাটি তুলে উচুনিচু করে ফেলেছে। সেজন্য পাকা মেঝেতে সঠিকভাবে চেয়ার বসানো যায়না। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের কর্মকর্তা সাবরেজিস্টার ফারহানা আজিজ দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে বাধ্য হয়েই কাজ করতে হচ্ছে। রাজস্ব তহবিল থেকে হলেও ভবনটির অন্তত জরুরি সংস্কার কাজ করে দেওয়া হোক।