সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম গত রবিবার সন্ধ্যার পরে বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন এই কর্মকর্তা। এবারেও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তনের রোকসানা ও গণ উন্নয়কেন্দ্রের সুমন আহমেদ ও অর্বিন্দ বর্মন বাল্যবিয়ের তথ্য দিয়ে ইউএনও’কে সহায়তা করেছেন। এনজিও কর্মীরা বলেন, কাজিপুর উপজেলার সোনামূখী ইউনিয়নের হাজরাটি গ্রামের শ্যাম বাদ্যকরের সঙ্গে ঐ স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ করা হয়। পরে আমরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ইউএনও’কে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানাই। ইউএনও মো. মেজবাউল করিম বলেন, এনজিও কর্মীরা বাল্যবিয়ের কথা আমাকে জানানোর পর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। একই সঙ্গে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঐ স্কুল ছাত্রীর বিয়ে দেবেননা মর্মে অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। কাজিপুরের ইউএনও’র সঙ্গেও কথা বলেছেন, ‘শ্যাম বাদ্যকর যেন বাল্যবিয়ে না করেন।’