মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কক্সবাজারে ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় বাংলাদেশীদের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে। খাদ্য ও জ্বালানী মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আজ মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, এই নতুন অর্থ দিয়ে প্রায় ৬ লাখ মানুষের জন্য জরুরী ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যের যোগান দেয়া হবে। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) এর মধ্যমে এই সহায়তা প্রদান করা হবে।
ইউএসএইড এই নতুন তহবিল দিয়ে অতি জরুরি খাদ্য যোগান ও পুষ্টি সহায়তা, অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ,দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)’র সাথে কাজ করবে। ফীডিং কর্মসূচির মাধ্যমে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী পুষ্টিহীনতায় ভোগা শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও স্তণ্যদানকারী মায়েদের পুষ্টি ও খাদ্য সহায়তা এবং নির্ধারিত বিতরন কেন্দ্রে প্রধান ও টাটকা খাদ্য যোগান দেয়া হবে । ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবির ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের ১৩০টি এলাকার মানুষ এই কর্মসূচির আওতাভূক্ত। এছাড়াও, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচির মাধ্যমে ডব্লিউএফপি শিবিরগুলোতে সেখানকার গণঅবকাঠামোগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে। বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে। এদের অধিকাংশই জাতিগত রোহিঙ্গা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছয় বছর আগে বার্মার (মিয়ানমার) সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, জাতিগত নিধন এবং অন্যান্য ভয়াবহ নৃশংসতা ও নির্যাতন চালালে ৭ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি শরণার্থী (রোহিঙ্গা) তাদের নিজভূমি বার্মার রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করতে বাধ্য হন।’ এই রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন।
মার্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং ইউএসএইড তাদের ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের প্রয়োজনের সময় সহায়তা প্রদান অব্যহত রাখবে।