কক্সবাজারের মহেশখালীর ব্যস্ততম প্রধান সড়কের উপর যত্রতত্রে গাড়ী পার্কিং করে লবনসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল লোড-আনলোড করেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। নেই কোন প্রশাসনের দেখা! অনুসন্ধানে এমন দৃশ্যটি দেখা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর প্রবেশদ্বার মহেশখালী-চকরিয়া সংযোগ ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত জনতা বাজার টু গোরকঘাটা প্রধান সড়কে এসব আইনিপরিপন্থি কার্যকলাপ বেড়েছে।
বিরতিহীন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী ও মালামালবাহী গাড়ী চলাচল করে আসছে। দ্বীপ মহেশখালীতে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নে ছোঁয়ায় মেগা প্রকল্প গুলির কাজ চলমান রয়েছে। তৎমধ্যে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ ও কালারমারছড়া সোনারপাড়া এসপিএম প্রকল্পদ্বয় অন্যতম। তাতে সড়কগুলিতে বেড়ে গেছে পূর্বের চেয়ে প্রচুর যান চলাচল। এমনিও সড়কগুলি সংক্রির্ণ, তার উপর প্রভাবশালীদের গাড়ী পার্কিংসহ মালামাল লোড-আনলোড করে নিত্যপণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ী চলাচলে হিমশিম খাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কালারমারছড়ার শেষ সীমানায় মহেশখালী সেতুর পশ্চিমে আলিম ফিলিং স্টেশন থেকে ১ শত গজ উত্তর-পূর্বদিক এবং চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সড়কস্থ গ্যাসের সাব-স্টেশনের লাগোয়া সড়কে দেশের প্রচরিত আইন না মেনে বিভিন্ন ধরণের মালামালসহ লবন লোড করায় বিপাকে পড়েছে যান চালকরা। প্রাত্যহিক লবন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট একাধিক স্থানে লবন লোড করে যানযটসহ একধরণের যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে প্রচুর ভোগান্তিতে এতদাঞ্চলের জনসাধারণ। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের নষ্ট করে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এমন কি লবন বোঝায় গাড়ী থেকে লবনাক্ত পানি পড়ে সড়ক হয় খুবই পিচ্ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের মালামালও লোড-আনলোড করার অভিযোগ তুলেন প্রত্যেক্ষদর্শীরা। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনার কবলে পড়ে কারো অঙ্গহানি আবার কেউ হারাচ্ছে মা’, কেউ হারাচ্ছে ভাই-বোন। স্থানীয়দের অভিমত বাণিজ্যিক প্রভাবশালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারলেও, নিরব ভূমিকায়। তা নিয়ে এতদাঞ্চলে চলছে হরেক রকম কানাঘুষা। ভোক্তভোগি ও সর্বমহলের দাবী সড়কের দখল করে এভাবে মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। দূর্ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী শওকত জানান দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় প্রতিনিয়ত একটা না একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। স্থানীয় সাবেক এমইউপি লিয়াকত আলী খাঁন জানান, সড়ক দখল করে মালামাল লোড-আনলোড করায় দীর্ঘ যানযট ও সৃষ্ট দুর্ঘটনা। তা বললেও তারা কর্ণপাতও করেনা। এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, যে কেউ এধরণের আইনি পরিপন্থি কার্য করে থাকলে, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।