মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কুড়িগ্রামে দুফসলি থেকে তিন ফসলি জমি করতে সরিষা চাষে ঝুঁকছে কৃষক চকরিয়ায় গোয়ারফাঁড়ি শাখা খাল দখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরির হিড়িক চার লক্ষ মানুষের বিপরীতে একমাত্র সরকারি হাসপাতাল ভঙ্গুর অবস্থায় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করায় সাটুরিয়া বিএনপির আনন্দ মিছিল শালিখায় জাসাস এর ২২ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা, থানায় জিডি পাঁচবিবিতে ড্রেনের আরসিসি ঢালাই কাজের উদ্বোধন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির মিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ প্রত্যন্ত এলাকার অপরাধ দমনে গ্রাম পুলিশদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ-এসপি শরীফুল হক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লামায় বিএনপির সমাবেশ

তিস্তার জেগে ওঠা চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

গোলাম রাব্বানী নীলফামারী
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

চলতি মৌসুমে নীলফামারী ডিমলা তিস্তা নদীর বালুচরে যেদিকে চোখ যাচ্ছে, শুধুই পেঁয়াজের আবাদ। দাম বেশি পাওয়ার আশায় এবার কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে এবং রোগ বালাইও কম- ফলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরাঞ্চলবাসী। জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সঙ্কট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চরাঞ্চলের কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম ও তামাক চাষ না করে এবার অধিকাংশ কৃষক পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ী, খগা খড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন। এসব চর এলাকার কৃষক বন্যায় রোপা আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পেঁয়াজ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে কৃষক নুর ইসলাম, হুকুম আলী, জুলহাস, আজাহার ও আবুল হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রত্যেকেই ৩/৪ বিঘা করে করে পেয়াজ চাষ করেছেন। ১৫শ টাকার বীজ কিনে রোপণ করে শতক প্রতি এক থেকে দেড় করে পেয়াজ ফলনের স্বপ্ন তার। হুকুম আলী বলেন, সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই ক্ষেতে। ৭০ শতক জমিতে ৭০ থেকে ৯০ মন পেয়াজ পেলে বাজার অনুযায়ী মন প্রতি ৫ থেকে ৬ শত টাকা বিক্রি হলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে জানান তিনি। জুলহাস বলেন, খরচ ও পরিশ্রম কম হয়ে ভালো ফলন হওয়ায় চরের অধিকাংশ কৃষকেরাই এখন এই পেঁয়াজ চাষের দিকেই ঝুঁকছে। সহজ সেচ ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে চরের পেঁয়াজ চাষ আরও বৃদ্ধি পেলে দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণ হতো। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী জানায় তিস্তার জেগে উঠা চরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি হচ্ছে। তিস্তার চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি ৬০/৭০ মন পেঁয়াজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মসলা জাতীয় এই ফসলে কৃষকরা সময়সময় লাভবান হন। চরের কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য আমরা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ বীজ থেকে শুরু করে অন্যান্য উপকরণাদি সরবরাহ করে যাচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com