শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
মাধবদীতে লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন বরিশালের মুসল্লিরা আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা নওগাঁয় বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ছড়ার পানিই ভরসা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চকরিয়ায় একাধিক অভিযানেও অপ্রতিরোধ্য বালুখেকো সিন্ডিকেট রবি মওসুমে নওগাঁ জেলায় ৮৮ হাজার ১১০ মেট্রিকটন ভূট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা কটিয়াদীতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসস্তিকা বরিশালে দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিম হাসপাতালে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু কালীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি লুট

আজ আসতে পারে আটকে থাকা ভারতীয় পেঁয়াজ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারে সীমান্তের ওপারে অপেক্ষমাণ পেঁয়াজবাহী ট্রাক। পাঁচ দিন আটকে থাকার পর অনুমতি সাপেক্ষে ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় এসব ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার যে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল, এতে করে আমাদের ২৫০ ট্রাকের মতো পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করছে। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে এসব ট্রাকের মধ্যে কিছু ট্রাকের পেঁয়াজে ইতোমধ্যে পচন ধরতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজগুলো যদি তারা রফতানি না করে তাহলে আমরা যারা আমদানিকারক রয়েছি তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তবে এর একটি সুসংবাদ ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। সেটি হলো, গত রবিবার আমাদের টেন্ডার করা যে পেঁয়াজগুলো রয়েছে সেগুলো তারা রফতানি করবে।’ তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন ধরেই পেঁয়াজগুলো আসবে আসবে বলা হচ্ছে। তবে দিল্লি থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও নোটিফিকেশন আসেনি। গতকাল শুক্রবার যেকোনও সময়ে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশনটি আসার কথা রয়েছে বলে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। আজ যদি সেই নোটিফিকেশন চলে আসে তাহলে আজ শনিবার থেকে ভারতে আটকে থাকা আগের টেন্ডারের পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাবে। তাতে বর্তমানে যে পেঁয়াজের দাম রয়েছে তা আরও কমবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে আমরা চাপ সৃষ্টি করছি ও ভারতীয় রফতানিকারকরাও চাপ সৃষ্টি করছেন, অন্তত যে ট্রাকগুলো পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই পেঁয়াজগুলো আপাতত দেওয়া হোক। এছাড়াও আমাদের যে ১০ হাজার টনের এলসি দেওয়া ছিল, আমরা সে বিষয়ে চেষ্টা করছি ও রফতানিকারকদের চাপ সৃষ্টি করছি যাতে দ্রুত সেই পেঁয়াজগুলোও যেন বাংলাদেশে রফতানি করা হয়। শুধু ভারতের ওপর মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকে আমরা ইতোমধ্যে পাকিস্তান, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজের এলসি খুলেছি, যা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চলে আসবে। তাতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

ওপারে আটকা পড়ে পচছে ১৬৫ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ: ঘোষণা না দিয়েই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় ভারতে আটকা পড়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজ। প্রতি ট্রাক পেঁয়াজের মূল্য ১০ লাখ টাকা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এসব ট্রাক ভারতে আটকে থাকায় এখন পচনের মুখে পড়ছে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। কবে নাগাদ এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে সঠিক দিনক্ষণও জানতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া মোটা অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, গত সোমবার ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ঘোষণার আগেই ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে এলসি করা ছিল ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের। এসব পেঁয়াজের ট্রাকগুলোর ডকুমেন্ট পাস করা রয়েছে। জেনেছি আগের এলসি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো তারা ছেড়ে দেবে। তবে এখনও পর্যন্ত ছাড়েনি বা কোনো সুরহা হয়নি। তাছাড়া ভারতের পেঁয়াজ রফতানি মূল্য নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাপেট ৩০০ ডলারের পরিবর্তে প্রতিটন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৭০০ ডলার। তিনি বলেন, আটকা পড়া প্রতি ট্রাক পেঁয়াজের মূল্য ১০ লাখ টাকা। গত সোমবার থেকে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙা সীমান্তে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো আটকে থাকায় পেঁয়াজ নষ্ট হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া আগামী রোববার বা সোমবার ট্রাকগুলো দেশে ঢুকলেও অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ আর খাওয়ার উপযুক্ত থাকবে না। এতে প্রতি ট্রাকে ব্যবসায়ীদের ৫-৬ লাখ টাকার লোকসান হবে। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকারও বেশি।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, কত ট্রাক পেঁয়াজ ভারতে আটকা পড়েছে তার সঠিক হিসাব আমার জানা নেই। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য। পেঁয়াজের ট্রাক আটকা পড়ে থাকলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়বেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com