মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে : অধ্যাপক তাহেরের স্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ।
অধ্যাপক ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, অনেক যন্ত্রণা নিয়ে জীবন পার করছি। দুই আসামির রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমাদের ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। এ সময় ড. এস তাহেরের মেয়ে সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট সেগুফতা আহমেদ ও তাদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ। এর ফলে এই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা থাকলো না। তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন। আদেশে অপর দুই আসামি মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন দ- বহাল রেখেছেন আদালত। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বে আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী ও এডভোকেট এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবি’র কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু’জনকে খালাস দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। খালাসপ্রাপ্ত দু’জন হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দ- কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com