অরিত্রীর আত্মহত্যা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুই শিক্ষিকা হলেন নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরা। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি হয়ে আমাদের আদালতে আসে। এর আগে এ মামলার একটি ধার্য তারিখে আসামিরা আদালতে হাজির হননি। গত ২৮ মার্চও ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৮ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান পেয়ে ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।