ভোলায় খনন করা ইলিশা-১ কূপে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স সূত্র।
গতকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ডিএসটি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় রাষ্ট্রয়াত্ত্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানটি। ওই সময় মাটির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার নিচে গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধায়নে কূপ খনন করছে রুশ কোম্পানি গ্যাজপ্রম। সুনিদিষ্টভাবে পরিমাণ জানা না গেলেও বাপেক্স ধারণা করছে, এই কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুটের (বিসিএফ) মতো গ্যাসের মজুত রয়েছে। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে পরীক্ষা চলছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পরীক্ষা চলবে। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরও অনেক কাজ রয়েছে। সব কাজ শেষ হলে গ্যাসের মজুত, দৈনিক উত্তোলন ও ফ্লো নিশ্চিত করে বলা যাবে। বাপেক্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিএসটি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে শুরুতে ১০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাসের ফ্লো চলছে। যা পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবে বাপেক্স।
বাপেক্স ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, এখন টেস্টিং চলছে। মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। যা প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এর আগে গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ নামের এ কূপের খনন শুরু হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দুটি গ্যাসক্ষেত্রে নয়টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট মজুতের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট।