প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারো শপথ নিলেন তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এটি তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ এবং শাসক হিসেবে টানা ২০ বছর শেষে আরো পাঁচ বছর মেয়াদে ক্ষমতাসীন হওয়া। প্রথম পর্বের অমীমাসিংত ভোটের পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন তিনি। গতকাল শনিবার (৩ জুন) তিনি এ শপথ নেন।
আঙ্করা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ওসামা বিন জাভিদ বলছেন, এরদোগানের নতুন মেয়াদের অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৭৮ জন সদস্য যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন কয়েক ডজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এ সময়ে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগান শুধু তার দৃষ্টিভঙ্গিই ঘোষণা করবেন তা নয়। একই সঙ্গে তার মন্ত্রীপরিষদের নাম ঘোষণা করবেন। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার শতকরা ৪৩.৭ ভাগ। এর মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক সংকট হবে এরদোগানের শীর্ষ অগ্রাধিকার।
নির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এতেও যোগ দিয়েছেন এরদোগান। তার জোট ৬০০ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে ন্যাটোর মিত্ররা উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছে সুইডেনের বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় সুইডেন। তাতে আঙ্কারার আপত্তি আছে। তাই সবাই তাকিয়ে এখন এরদোগানের দিকে। তিনি সুইডেনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন কিনা। জুলাইয়ে ন্যাটোর সামিট আছে। সবাই তার কাছে আশা করছে এর আগেই এরদোগান সবুজ সংকেত দেবেন। কিন্তু এরদোগান নিজে এক্ষেত্রে গড়িমসি করছেন। তার দেশে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) নেতাকর্মীদের ঠাঁই দিয়েছে সুইডেন। ফলে তিনি নিষিদ্ধ এই গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার কারণে সুইডেনের সদস্যপদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরদোগানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গের। তবে তাতে এরদোগানের মন গলবে কিনা বলা যায় না। তবে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোবিয়াস বিলস্টর্ম টুইটারে বলেছেন- এই প্রক্রিয়া নিয়ে তুরস্ক এবং হাঙ্গেরির বিষয়ে ওসলোতে ন্যাটোর মিটিং থেকে একটি পরিষ্কার বার্তা পাওয়া গেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, সুইডেন আমাদের বন্ধু। তাদের প্রতি একটি ক্রিস্টাল পরিষ্কার বার্তা।