শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

কুমিল্লায় এক জমিতে বছরে চার ফসল করে কৃষকরা লাভবান

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা এক জমিতে বছরে চার ফসল করে লাভবান হচ্ছেন। এক সময়ে এই গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতো। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। ধারাবাহিক চার ফসল হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও আমন।
কৃষি অফিসের সূত্রমতে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪, হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সূত্রমতে, এই মাঠে তিল বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়- ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।
স্থানীয় কৃষক সেলিম রেজা বাসসকে বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা আউশ-আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতিবছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। দেশের তেল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com