বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন চা-বাগানে গোলমরিচের চাষ

এহসান বিন মুজাহির (শ্রীমঙ্গল) মৌলভীবাজার :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগান, লাখাই ছড়া চা বাগান, এমআর খান চা বাগানসহ বিভিন্ন চা-বাগানের ছায়া দানকারী বৃক্ষগুলোতে গোলমরিচ গাছ চাষ করা হচ্ছে। গোলমরিচ মূলত মাংসসহ অনেক রান্নার প্রায় অপরিহার্য মসলা। এই কৃষিপণ্যের প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও শ্রীমঙ্গলে রয়েছে চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। সরেজমিন ঘুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভিন্ন চা-বাগানে সাথি ফসল হিসেবে রসনাদার গোলমরিচ সীমিত পরিসরে উৎপাদন হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে শ্রীমঙ্গলে। চা-বাগানের জন্য অত্যাবশ্যক ছায়াদানকারী বৃক্ষ। সেই বৃক্ষকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে গোলমরিচ-লতা। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, চরঢ়বৎধপবধব পরিবারের এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম চরঢ়বৎ হরমৎঁস; ইংরেজিতে নষধপশ ঢ়বঢ়ঢ়বৎ; যা দেখতে অনেকটা পান-লতার মতো। চারা রোপণের তিন-চার বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। একটি পূর্ণ গোলমরিচ গাছ দুই দশক পর্যন্ত ভালো ফল দেয়। লতানো গোলমরিচ গাছে লম্বা গুচ্ছে ছোট হলুদ রঙের ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ডিসেম্বরের শেষদিকে ফল লাল হয়। তখন সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে চার-পাঁচ কেজি গোলমরিচ সংগ্রহ করা যায় বলে চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও চাষিরা জানান। গাছ থেকে ফল সংগ্রহের পর ফলগুলো গুচ্ছ থেকে আলাদা করে ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করতে হয়। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ রোদে শুকানোর পর তা বাজারজাত বা খাওয়ার উপযুক্ত হয়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানে প্রায় ১০০ হেক্টর, গ্রাম ও পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন বাড়িতে আরও প্রায় পাঁচ হেক্টর জমিতে গোলমরিচের চাষ হচ্ছে। এ উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি মসলাজাতীয় ফসল চাষের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। আমাদের দেশে গোলমরিচ চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় জানিয়ে মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন মৌলভীবাজার জেলায় বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ করলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদার কিয়দংশ মেটানো সম্ভব। যেসব চা-বাগানে গোলমরিচের চাষ হচ্ছে, আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, ‘গোলমরিচ পরাশ্রয়ী ও লতাজাতীয় উদ্ভিদ বিধায় খুব সহজে এ মসলার চাষ করা যায়। বাড়িতে যেকোনো গাছের গোড়ায় চাষ করা যায়। খুব একটা পরিচর্যা ছাড়াই রোপণের তিন বছরের মধ্যে ফসল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ দুই দশক পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। প্রতিবছর গড়ে একটি গাছে দেড় থেকে দুই কেজি শুকনো গোল মরিচ পাওয়া যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com