রাজধানী ঢাকার ফার্মগেইট এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত শেরপুরের পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও উদয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদুল হক মনি।
সোমবার ৩ জুলাই দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন। ওইসময় তিনি নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের স্ত্রী, দুই সন্তান মো. আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমানের খোঁজখবর নেন। একইসাথে জাপার এই নেতা মনিরুজ্জামানের বড় ছেলে মো. আব্দুল্লাহর মাদ্রাসায় লেখাপড়ার খরচ ব্যয়ভার বহন করার অঙ্গীকার করেন। এসময় নিহত মনিরের বাবা দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম তালুকদার বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। দুই এতিম সন্তান ও তার বিধবা স্ত্রীর খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি এসেছেন। আমি তার জন্য দু হাত তুলে দোআ করি, যেন আল্লাহ তাকে দীর্ঘজীবি করেন। এবিষয়ে শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি বলেন, ছিনতাইকারীদের হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি নিজেও গর্বিত। নিহত মনিরের বড় ছেলে আব্দুল্লাহর পড়াশোনার ব্যয়ভার বহনে তার ২০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে ব্যাংকে জমা দিব। এজন্য একটি ব্যাংক হিসেবে খোলার জন্য শিশু আব্দুল্লাহর পরিবারের অভিভাবক তার দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম তালুকদারকে অনুরোধ জানান তিনি। ওইসময় অন্যান্যদের মধ্যে শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান মোরাদ ও এসএম আশরাফ, ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. সানীসহ জেলা জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং মনিরুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকা তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের কর্মস্থলে ফেরার সময় গত ১ জুলাই শনিবার ভোররাতে ঢাকার ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিমপাড়া তালুকদার বাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম তালুকদারের ছেলে এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক।