ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের বালিথুবা বাজার হইতে সরখাল অবিমূখে রাস্তার ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৩/৪ টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা ব্রীজটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে থাকলেও বাস্তবে তার কিছুই হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে আছে ব্যস্ততম এই সড়কের বিশাল ব্রিজের মাঝখানে। প্রায় ২০ বছর আগের নির্মিত ব্রীজের মাঝখানের সংযোগ সড়ক ভেঙে দেবে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা জেলাসদর, হাট বাজারের পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার-হাজার মানুষের। যাতায়াতের বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এই ভাঙা ব্রিজ ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের। তবে অটোরিকশা, সিএনজি, ভটভটিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। বর্তমানে ব্রীজটির ভাঙার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়ন, ৭নং পাইকপাড়া, ৮নং পাইকপাড়া, ৪নং সুবিদপুর, সহ কয়েকটি ইউনিয়নের লাখো মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী লোকজন নিজ উদ্যোগে ভাঙা সেতুটির ওপর কাঠ ব্যবহার করে যাওয়া-আসা করলেও বর্তমানে বাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন চলাচল করছেন। তাই ভাঙা এই ব্রীজটি যেকোনো মুহর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে সাধারণপথচারী বা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ৩/৪ টি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া ও চাঁদপুর সদর এবং হাজিগঞ্জ থেকে বিভিন্ন বাজারের দোকান মালিকরা পণ্য কিনে এই অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারের পন্য নেয়ার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অত্র অঞ্চলের পাটোয়ারী বাজার, বালিথুবা বাজার, শাহীবাজার, চৌরঙ্গী বাজার, কড়ৈতলি বাজার, শোল্লা বাজার সহ কয়েকটি বাজারের অসংখ্য দোকান মালিক জানান, এই ব্রীজটি ৩/৪টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। ব্রীজের মাঝখানে দেবে গেছে। প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত ব্রীজটির স্থলে নতুন ব্রীজ নয়তো সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ব্রীজটির বেহাল অবস্থা। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ভাঙা ব্রীজে মানুষ খুব কষ্ট করে চলাচল করছে। ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ নয়তো সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। ২নং বালিথুবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হারুন আর রশিদ বলেন, বালিথুবার এই ব্রীজটি এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষিপন্য আনা নেওয়া ও হাট-বাজারের মালামাল আনা নেয়া ক্ষেত্রে ভাঙা ব্রীজটি চরম দূর্ভোগের কারণ। আমরা কর্তৃপক্ষকে ব্রীজের বেহালদশা নিয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি। আশা করি খুব শীঘ্রই ব্রীজটি সংস্কার করা হবে।এবং আগামী এক মাসের মধ্যেই সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আমাকে অবগত করেছেন। আমাদের বিশ্বাস ব্রিজটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করলেই যোগাযোগে সস্তি ফিরে আসার পাশাপাশি দূর্ভোগ লাঘব হবে এ অঞ্চলের হাজারও মানুষের।