বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর আচরণেও বদল আসে। সেটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। তবে সেই বদল ইতিবাচক হওয়া জরুরি। শিশুসুলভ আচরণ যদি খারাপ ব্যবহারে রূপান্তরিত হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে অভিবাবকদের।
বয়ঃসন্ধির সময়ে শুধু শরীরে নয়, নানা বদল আসে মনেও। তবে সেই বদলের প্রতিফলন বড়দের অসম্মান করা হতে পারে না। আপনার সন্তান যদি কথায় কথায় মেজাজ হারায় বা অত্যন্ত জেদি হয়ে ওঠে তাহলে তাকে বকাঝকা না করে শান্ত মেজাজে সামলানো উচিত।
যদিও কমবেশি সব বাবা-মা মেজাজ হারিয়ে বকুনি দিয়ে ফেলেন। তাতে পরিস্থিতি অনেক সময়ে হাতের বাইরে চলে যায়। সন্তানকে বকুনি দেওয়া কিংবা মারধর করায় কোনো সমাধান মেলে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাগী ও জেদি সন্তানকে সামলাবেন কীভাবে-
প্রথমেই বকাঝকা না করে সন্তান কেন এ ধরনের ব্যবহার করছে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। অনেক সময় শিশুরা তাদের মনের কথা সঠিকভাবে বুঝিয়ে উঠতে পারে না। ফলে তারা খারাপ আচরণ করে ফেলেন। আপনার সন্তানও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার মধ্যে একটি আলাদা আনন্দ আছে, শিশুকে তা বোঝান। রেগে গেলেও নিজেকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা শিশুকে শেখানো জরুরি সব বাবা-মায়েরই। যদি সন্তান আপনার কথা শুনে তেমন পথেই হাঁটে, তাহলে প্রশংসা করতে ভুলবেন না। সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাহলে জেদি ও অশান্ত সন্তানেরাও সভ্য হয়ে উঠবে। শিশুকে স্বাধীনতা দিন, সব সময় জোর করবেন না তাদের উপরে। সব সময় তার খুঁতও ধরবেন না। তাতে শিশুর মনে ক্ষোভ জমা হতে থাকে। তারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে সন্তানের রাগ ও জেদ।