বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
১৫তম জাতীয় সিনিয়র ক্লাব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় শাম্মী সুলতানার তিনটি অনন্য রেকর্ড জনপ্রশাসন সংস্কারে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন যেভাবে প্রফেসর তরুণ কান্তি বড়–য়ার রেক্টর পদে যোগদান উপলক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা হাসিনার মতো ’৭১ সালে শেখ মুজিবও পালিয়ে ছিলেন: মির্জা ফখরুল মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা বজ্রপাতে মাঠেই মারা গেলেন ফুটবলার মার্কিন নির্বাচন : কার জয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? ৮ গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

কুমিল্লায় ড্রাগন ফল চাষে ভাগ্য বদল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

একসময় শুধু ধান-পাট ও দেশি ফল চাষ করেই জীবনযাপন করতেন গ্রামের মানুষ, কিন্তু সময় পাল্টেছে এখন। হাঁটছে মানুষ ভিন্ন পথে। মানুষ এখন দেশি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফল উৎপাদনে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। তারা বাড়ির পাশেই গড়ে তুলছেন বিদেশি ফলের বাগান। সে ধারাবাহিকতায় ড্রাগন এখন পরিচিত ফল হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গ্রাম বাংলায়।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার একটি গ্রাম হারং। ওই গ্রামের মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পিঙ্করোজ, রেড বেল ও হোয়াইট ড্রাগন। দুই বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ করেন কামাল হোসেন সরকার দুলাল। ২০২২ সালে তিনি চারা লাগান। তার জমির লিজসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। এক বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। তিনি লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তার আশা আগামী বছর পুঁজি উঠে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারির সঙ্গে স্থানীয় ক্রেতাও এসেছেন। দুলাল বলেন, ইউটিউবে দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কাজ শুরু করেন। চাষ করতে করতে অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আশা করছেন আগামীতে আরও বেশি ফলন পাবেন। তাকে দেখে অন্যরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তিনি চারাও বিক্রি করেন। ক্রেতারা বাগান থেকেই ফল সংগ্রহ করেন। তাঁর দাবি, তিনি বিষমুক্ত উপায়ে ফল চাষ করেন। ফল জমিতে পাকার পর সংগ্রহ করেন। তাই স্বাদ, রং ও ঘ্রাণ চমৎকার।
স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বাসসকে বলেন, দুলাল আমাদের কাছে ড্রাগন ফল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিই। সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে ফল উৎপাদন করবেন। তাঁর সাফল্য আমাদের উৎসাহী করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল হক রোমেল বলেন, এ ফলটি উচ্চমানের ভিটামিন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ফ্রিজিং ছাড়া স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এক সপ্তাহ রাখা যায়। এটি বিদেশি ফল হলেও দেশে ব্যাপক চাষ হচ্ছে। দিন দিন কুমিল্লায়ও এ ফলের আবাদ বাড়ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com