আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে তা সংবিধানের বাইরে, সংবিধান বিরোধী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির এক দফা নিয়ে বিদেশিদের কোন বক্তব্য নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতুভবনে সাংবাদিকদের এক এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অশান্তির পথে হাটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য তা আরো স্পষ্ট হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করতে চাইছে। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন পন্ড করবে, নির্বাচন ভন্ডুল করবে- এ লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের পরিস্কার কথা, আওয়ামী লীগের দফা একটাই- সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযোক্তিক। বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে এমন নিশ্চয়তা না পেলে তারা নির্বাচনে আসবে না- এটা তাদের প্রতিজ্ঞা, তারা পণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি, তারা যেন বিএনপির উসকানিতে শান্ত থাকে। তারা উসকানি দেবে কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করা চলবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে কি এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে,যেখানেসেখানে মারামারি করতে যাবে- সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?
এর আগে সেতুভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশি হাইকমিশনার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন।