চলতি মাসেই প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে চার সন্তান নিয়ে ভারত চলে আসেন সীমা হায়দার নামে এক নারী। এবার প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে গেছেন আঞ্জু নামের এক নারী। স্বামী-সন্তান ফেলে প্রেমিক নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমা লীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় গেছেন। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারত পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী আঞ্জুর জন্ম উত্তর প্রদেশের কাইলর গ্রামে। তিনি রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করেন। তবে বর্তমানে তিনি পাকিস্তানি প্রেমিক নসরুল্লাহর সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উপপার দির জেলায় অবস্থান করছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৯ বছর বয়সী নসরুল্লাহ একটি হাসপাতালে কাজ করেন। কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। আর সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, অঞ্জু এক মাসের জন্য পাকিস্তান সফর করছেন ও তার ছেলে বন্ধুকে বিয়ে করতে তিনি এখানে আসেননি। পাকিস্তানে প্রবেশের পর ভারতীয় এ নারী প্রাথমিকভাবে পুলিশের হেফাজতে থাকলেও, জেলা পুলিশ তার ভ্রমণ নথি যাচাইয়ের পরে ছেড়ে দিয়েছে।
উপপার দির থানার একজন কর্মকর্তা জানান, জেষ্ঠ্য পুলিশ কর্মকর্তা মোশতাক খাব ও স্কাউটস মেজর অঞ্জুর সব নথিপত্র পরীক্ষা করেন। কোনো অসংগতি না পাওয়ায় তাকে ও তার প্রেমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারের পর রাজস্থান পুলিশের একটি দল আলওয়ার জেলার ভিওয়াদি শহরে অঞ্জুর বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তার স্বামী অরবিন্দ পুলিশকে বলেছেন, জয়পুরে যাওয়ার অজুহাতে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাড়ি থেকে বের হন অঞ্জু। পরে আমরা জানতে পারি, সে এখন পাকিস্তানে রয়েছে। অরবিন্দ আরও জানান, ২০০৭ সালে তারা বিয়ে করেন ও তারপর থেকে একসঙ্গেই বসবাস করে আসছিলেন। তারা ভিওয়াদিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাদের সংসারে ১৫ বছরের একটি মেয়ে ও ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভিওয়াদির সহকারী পুলিশ সুপার সুজিত শঙ্কর বলেছেন, অঞ্জুর স্বামীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তিনি বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার বৈধ পাসপোর্টও রয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সূত্র: এনডিটিভি