মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বৃষ্টি অব্যাহত ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি: নিহত ৭

মনির আহমদ কক্সবাজার :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

কক্সবাজারের দুই হাজারের ও অধিক বাড়ী-ঘর বন্যার পানিতে দুইদিন নিমজ্জিত থাকার পর ভেসে উঠতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। নিহত হয়েছে ৮ জন। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায জরুরী খাদ্য, অষুধ, আশ্রয় সংকট চলছে। এসব মানুষের মধ্যে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে চকরিয়ার বরইতলীতে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে দুই শিশু ও উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এর আগে বিকেলে মাতামুহুরী নদীতে ঢলে ভেসে আসা কাঠ ধরতে গিয়ে ভেসে গিয়ে শাহ আলম (৩০) এবং সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে পানিতে ডুবে আনোয়ার হোসাইন(৬৫) ও পুর্ব বড় ভেওলায় পানিতে নেমে নিখুজ হয়েছে ১৩ বছরের কিশোরসহ তিনজন। পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হরয়ছে। পেকুয়ায় বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চকরিয়ায় ১৮ টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ৪৫ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৮৫ জন মানুষ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পানিবন্দি হয়েছে পেকুয়া উপজেলায়। এখানে পানিবন্দি হয়েছে ৭ ইউনিয়নে ৮ হাজার পরিবারের ৩২ হাজার মানুষ। চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানিয়েছেন, পার্বত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ী ঢল নেমেছে মাতামুহুরী নদীতে। পাহাড়ী ঢল, বৃষ্টি এবং জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়ন াবিত হয়েছে। চকরিয়ার বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এর মধ্য ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকারা, লাক্ষ্যারচর, বুমুবিল ছড়ি সুরাজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল ও কোনাখালী ইউনিয়ন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, দুই দিন ডুবে থাকার পর বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে সরকারী সহায়তা প্রদান শুরু করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com