বিএনপি’র সভা-সমাবেশ নিয়ে সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকায় বুধবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ডাকা এই জনসমাবেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর একদফা দাবিতে সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। জেগে উঠেছে মানুষ। হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য জনগণের সম্মিলিত মিছিল রাজপথকে প্রকম্পিত করছে। বিএনপি’র সভা-সমাবেশ-মিছিল-মিটিং স্লোগানে চারদিক থেকে জনগণের মিলিত স্রোত দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে ক্ষমতালোভী আওয়ামী লীগ সরকার। বাক-স্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষ জেল-জুলুম-হামলা-মামলার শিকার হয়েও রাজপথে তাদের সরব উপস্থিতির কোন কমতি হয়নি। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলনের গতি প্রকৃতির পরিবর্তন হবে না, তা আরও তীব্রতর হবে। মাত্রা ছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাস ও পুলিশী আক্রমণের মুখেও গণতন্ত্রকামী মানুষ গণতন্ত্র ফেরানোর প্রচেষ্টায় অক্লান্ত রয়েছে। তাই অত্যাচারী ও অনাচারী আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসর’রা বিএনপি’র সভা-সমাবেশ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি আহুত এই জনসমাবেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে কোন কাজ হবে না। জনগণ কিন্তু গভীর নিদ্রায় অচেতন নয়। নতুন যুগের জয়যাত্রার পথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সৌধ ভেঙে জনগণ প্রতিষ্ঠা করবে নিজেদের মালিকানা, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। চলমান আন্দোলন বিজয়ের সিংহদুয়ার অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। আমি ঢাকাবাসীসহ বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থকদের সরকারি চক্রান্ত ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বুধবারের অনুষ্ঠিতব্য জনসমাবেশকে সার্থক ও সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
মিথ্যার আতুর ঘরে জন্ম আওয়ামী নেতাদের মন্তব্য করে রিজভী বলেন, অসত্য, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার এবং বিভ্রান্ত ছড়ানোই যেন আওয়ামী নেতাদের সহজাত প্রবৃত্তি। এরা ডাকাতিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। ব্যাংক ডাকাতি, অন্যের জমি জিরাত ডাকাতি, মানুষের নাগরিক অধিকার ডাকাতি, ব্যালট বাক্স ডাকাতিসহ সমগ্র নির্বাচন পদ্ধতিকে ডাকাতি করা ছাড়া তাদের রাজনীতিতে কোন নীতি ও আদর্শ নেই।