মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় হামুনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ক্ষতি বেশি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করছে ঘূর্ণিঝড় হামুনের মূল অংশ। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় হামুনে চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই নারী নিহত ও অন্তত ৮৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বাঁশখালীর সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে আবদুল খালেক, চকরিয়ার বদরখালীতে গাছ পড়ে আজগর আলী (৫০) এবং মহেশখালীতে বাড়ির দেয়াল চাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদিকে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ঘূর্ণিঝড়টির উপকূল অতিক্রম শুরু হয়। রাত ৯টার পর কক্সবাজার সদর উপকূলে ঝোড়ো বাতাসের তীব্রতা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে মহেশখালী ও কুতুবদিয়াত ঝোড়ো হাওয়া ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ঝড়ে বেশ কিছু গাছ ভেঙে কয়েকটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ সময় হালকা বাতাস হলেও সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টিপাতও শুরু হয়। বাতাসের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, সড়কে চলাচল করা ইজিবাইকগুলো উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এছাড়াও কাঁচা ও আধা কাঁচা ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে, ভেঙে পড়েছে অনেক ঘরের দেয়াল, উপড়ে গেছে গাছপালা। এতে সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড বাতাসের তোড়ে উপড়ে সড়কে পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থান হতে টিনসহ হালকা পণ্যগুলো উড়ে একস্থান হতে অন্যস্থানে সরে যায়। সমানে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ ইমাম উদ্দিন জানান, ‘হামুন’ আরও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সন্ধ্যায়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে ঝড়ো বাতাসসহ কক্সবাজারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে এটি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত এখনো বহাল রয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ কক্সবাজারসহ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে খবর পেয়েছি। শহরের মতো উপকূলের গ্রামের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ির চালা, গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পেয়েছি। পুরো অতিক্রম করা শেষ হলে বুধবার দিনের বেলা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে। এর বিকাল সাড়ে ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি রাতে দুর্বল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ অব্যাহত আছে। এছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদসংকেত, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত নামিয়ে ৫ নম্বর বিপদসংকেত ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নি¤œাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ক্ষতি বেশি
ঘূর্ণিঝড় হামুনে চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই নারী নিহত ও অন্তত ৮৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বাঁশখালীর সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কক্সবাজার এলাকায় তা-ব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে সেটি স্থল নি¤œচাপে পরিণত হয়। চট্টগ্রামে জেলা ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘উপকূলীয় ছয় উপজেলা বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, সীতাকুন্ড এবং কর্ণফুলী উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র পেয়েছি। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়ায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা দুজন নিহতের তথ্য পেয়েছি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কয়েকটি উপজেলায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা এখনও পাইনি।’ জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন উপজেল্লার ২৫টি ইউনিয়নে এক লাখ ১১ হাজার মানুষ হামুনের আঘাতে ক্ষতিগস্ত হয়েছে। চার হাজার ৭৮৪টি বাড়ি আংশিক এবং ২৮৩টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বনাঞ্চলে গাছপাড়া বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য খাতে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত গবাদি প্রাণীর মধ্যে ১১টি গরু এবং ভেড়া ও ছাগল মিলিয়ে ৭০ টির মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসন। ছাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে গাছচাপায় ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সাতকানিয়ায় আরও একজন নিহতের তথ্য পেলেও বিস্তারিত কিছু এখনও তারা জানতে পারেননি। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিধ্বস্ত ঘর, উপড়ে পড়া গাছপালার চাপায় ৮৫ জনের মতো আহত হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস জানিয়েছেন, উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে গাছচাপায় বকুমা খাতুন (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক গাছপালা ভেঙেছে। গাছ ও ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন ছিঁড়েছে। ১২৩টি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য এসেছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্নস্থানে গাছ পড়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মূল সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। সরল ইউনিয়নে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ছাড়া সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ চট্টগ্রামে তাদের অন্তত ৮১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাঁশখালীতে সবচেয়ে বেশি ৩১টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামুনের তান্ডবে ল-ভ- কক্সবাজারসহ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী । গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হামুনের ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের অন্তত ৩৫টি খুঁটি ভেঙে গেছে। উপজেলায় এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলার বিদ্যুতের লাইন চালু করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া শত শত গাছ ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের অন্তত ৩৫টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এ কারণে উপজেলার পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলার বিদ্যুতের লাইন চালু করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় উপদ্রুত এলাকার মানুষজন কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছে না। নেটওয়ার্ক না থাকায় উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, সড়কের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আপাতত দুই টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন, সড়কে ওপর গাছ উপড়ে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য সড়কের ওপর থেকে গাছ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত করে কিছুটা এগিয়ে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। ঝড় শুরুর পর মঙ্গলবার রাতে ঝোড়ো হাওয়ায় দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজার জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com