ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন কমবেশি সবাই ভুগছেন সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথার সমস্যায়। সাধারণ ফ্লুর এসব সমস্যা যদিও এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে গলা ব্যথার সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এক্ষেত্রে খাবার গিলতে এমনকি কথা বলতেও কষ্ট হয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, গলা ব্যথার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের অবশ্যই হাইড্রেটেড থাকতে।
এক্ষেত্রে গরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পরিবর্তে বরফের টুকরো, বরফের ললি চুষলে গলা ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি মেলে।
আইস থেরাপি কীভাবে কাজ করে? যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্যমতে, বরফের টুকরো বা বরফের ললি চুষে খাওয়া প্রশান্তিদায়ক ও এটি শরীরে আর্দ্রতা জোগায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আইস ললি গলা ব্যথার জন্য একটি ভালো চিকিৎসা হতে পারে।
এটি স্ফীত টিস্যুতে শীতল প্রভাব ফেলে। আইস পপ গলায় স্নায়ুর শেষের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ব্যথার সংকেত কমে যায়। এমনকি টনসিলেক্টমি করার পরও চিকিৎসকরা রোগীদের আইসক্রিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ঠান্ডা আইসক্রিম স্ফীত টনসিলের সংস্পর্শে আসলে ফোলাভাব ও ব্যথা কমে।
ঘরে বসে গলা ব্যথা দূর করার আরও কিছু কার্যকরী উপায় এখানে দেওয়া হলো- ১. গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলেও প্রদাহ কমে। তবে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন না ভুলেও। ২. হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আছে এই উপাদানে। গলা ব্যথা সারাতে ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ পান করুন। একে সোনার অমৃতও বলা হয়। ৩. গরম ভাঁপ নিন। এতে অনুনাসিক প্যাসেজ খুলতে সাহায্য করে। আর্দ্র বাতাস অনুনাসিক প্যাসেজ, গলা ও ফুসফুসে আটকে থাকা আঁঠালো শ্লেষ্মাকে আলগা করে। ৪. আদা চা গলা ব্যথা সারানোর একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। ৫. গবেষণা অনুসারে, মধুর সঙ্গে মিলিত হলে আদা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য আদা কুঁচি করে চামচ দিয়ে চেপে চেপে রস বের করে নিন। এই রসে এক চা চামচ মধু যোগ করুন ও মিশিয়ে পান করুন। এটি পান করা গলা ব্যথা সারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া