মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের সূচনার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান ইইউ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গাজীপুর শাখায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত ইসরাইলের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ছাড়া লেবাননে যুদ্ধবিরতি নয় : গ্যান্টজ গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কারখানায় অগ্নিসংযোগ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু ইন্তেকাল করেছে যশোরের সন্যাসগাছা বাজারে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা মেজর (অব.) জলিলের মৃত্যু বার্ষিকী আজ চট করে নির্বাচন হলে আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জন হবে না; টিআইবি

বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩

হরতালের মিছিল শেষে ফেরার পথে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে এবং একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এ অভিযোগ করেন। এর আগে ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের আহ্বানে হরতাল শুরু হয়। গতকাল বিএনপির মহাসমাবেশে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে তাঁদের ঢাকা ও গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীতে গত শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহত হন। এ ঘটনায় আজ সকালে পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হলো।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজন হলেন—শামীম রেজা ও মো. সুলতান। শামীম গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক। তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে।
নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলামের জানাজা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার দুজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। সিটি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে।
শামীম রেজার ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, তাঁকে ডিএমপির কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ডিএমপির একটি দল গাইবান্ধার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলার সময় ফকিরাপুলের বক্সকালভার্ট রোড এলাকায় আমিরুল মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে এই সংঘর্ষ অন্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ প- হয়ে যায়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অন্তত ছয়টি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতা-কর্মীরা। এই সংঘর্ষে পুলিশের সদস্য আমিরুল ছাড়াও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শামীম মিয়া। তিনি রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com