পটুয়াখালীতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে গভীর সাগরে যাওয়া বেশির ভাগ জেলেরা এখনো ফিরেনি ঘাটে। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোসাগরের কাছাকাছি এলাকায় জেলেদের জালে মেলেনি আশানুরুপ ইলিশ। তবে জেলার বিভিন্ন নদীতে জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ মিলেছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদী ও সাগরে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার আগেই গতকাল বিকাল থেকে জেলার বৃহৎ মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর থেকে গভীর সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে যায় হাজারো ট্রলার। ট্রলারগুলো এখনো ফিরেনি ঘাটে। তবে মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে (সৈকত থেকে ২/৩ কিলোমিটার দূরে) খুটা জেলেরা ফিরেছে মৎস্য আড়তগুলোতে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ ভাগ জেলে ফিরেছেন কিছু সংখ্যক মাছ নিয়ে। তবে তাদের আশানুরুপ মাছ মিলছে না বলে জারিয়েছেন।
এদিকে জেলার আন্ধারমানিক, আগুনমুখা, তেতুলিয়া ও রাবনাবাদ নদী থেকে মাছ নিয়ে ঘাটে ফেরা জেলেরা ফিরেছেন কাঙ্খিত ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে। তাদের দাবি এভাবে নদীতে মাছ ধরা পড়লে তার পিছনের ধারদেনা শোধ করে উঠতে পারবেন।
রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া এলাকার জেলে নাসির মৃধা জানান, গতকাল গভীর রাতে আগুনমুখা নদীতে জাল ফেলি। বেশ কয়েকটি পাঙ্গাশ ও ইলিশ মাছ পেয়েছি। মাছগুলো স্থানীয় আড়তদারের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এভাবে মাছ ধরা পড়লে আমরা আমাদের পিছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। কুয়াকাটা এলাকার জেলে নাসির মিয়া জানান, রাতে জাল ফেলে তেমন একটা মাছ পাননি। তবে কিছু তুলার ডাডি ও পোয়া মাছ পেয়েছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত সমবায় মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, গভীর সাগরে যে সকল জেলেরা মাছ শিকারে গিয়েছে, তারা এখনো ঘাটে ফিরেনি। শনিবার অথবা রোববার এসকল জেলেরা ঘাটে ফিরতে পারে। আরও কুয়াকাটার কাছাকাছি যে সকল জেলেরা মাছ শিকার করেন তাদের মধ্যে কয়েকজন কম সংখ্যক মাছ নিয়ে ফিরেছেন। বিকালে জেলেরা ফিরলে হয়তো মাছের পরিমান বলা যাবে।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, অবরোধ সফল হয়েছে। আশা করছি সকল জেলেরাই প্রচুর পরিমানে মাছ পাবেন।