বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণগ্রেফতার ও ‘গায়েবি’ মামলা বন্ধ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুব জাগপা কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক। গত সোমবার গণমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি পাঠান তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বিরোধী জোটের কর্মসূচি ঘিরে যেভাবে বল প্রয়োগ করা হয়েছে, তা কেবল অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেভাবে জাতীয় ও বিরোধী দলের নেতাদের গণগ্রেফতার, খুন এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নামে গণহারে গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। দেশজুড়ে সরকার একটি ভীতিকর ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।’ সরকার জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচাল করে আবারো ক্ষমতা দখলের উদ্দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার দেশ থেকে আইনের শাসন নির্বাসনে দিয়ে একটি মগের মুল্লুক কায়েম করেছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া। অথচ পুলিশের হাতেই এখন মানুষের জীবন অনিরাপদ।’ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।