পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের বর্বর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ডিইউজের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাইকোর্টের সামনে কদম পোয়ারা, তোপখানা রোড, পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের উপস্থাপনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. মাহবুব হাসান, ডিইউজে যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান খান, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন, ডিইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আবু বকর, ডিইউজের নির্বাহী সম্পাদক রাজু আহমেদ, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল রাজ্জাক রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিইউজে’র ক্রিড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক রফিক লিটন, সাবেক দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, তালুকদার রুমী, ফখরুল ইসলাম, মো: আবু হানিফ, সর্দার মতিন, আলম চৌধুরী, এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারি, ইসমাইল আহসান, মাজহারুল আলম, বেলাল তালুকদার, নুরুল আফসার, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, হামিদুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, ২৮ তারিখের সমাবেশকে প- করার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করে বিরোধীদলকে দমন করার নামে সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এ সরকার সাগর রুনিসহ অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। এ আন্দোলনের সবাইকে শরিক হওয়ার জন্য ওদের তো আহ্বান জানান তিনি। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যখন আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি তখন দেশে বাক স্বাধীনতা নাই। সাগর রুনি হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতনে কোনো বিচার হয় নাই। এ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখনই মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। আজকে দেশে পুলিশি শাসন চলছে। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। এ দেশকে বাঁচাতে হলে সাংবাদিক, পেশাজীবী সকলকে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এমন একটি সময় সমাবেশ করছি যখন সাংবাদিকরা মামলা হামলা জর্জরিত। এ সরকার সাংবাদিকদের কণ্ঠ বন্ধ করছে। আজ সাংবাদিকরা রাজপথে নেমে নেমেছে কারণ দেশে লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা ঘুমের গণতন্ত্র চলছে। তাই গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
খুরশিদ আলম বলেন, আমার দেশ, দিনকাল, দিগন্ত টিভি, আমার দেশসহ সত্যের পক্ষের মিডিয়া বন্ধ করেছে এ সরকার। শত শত সাংবাদিক বেকার করেছে। আমাদের এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই, যতদিন গণতন্ত্র পুনরুত্থান হবে না ততদিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি