ভিক্ষাবৃত্তি। ঘৃণিত এবং লজ্জাজনক একটি পেশা। ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে হাদিসের বাণী- হজরত ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত- আল্লাহর রাসূল সা: একদা মিম্বারের উপর থাকা অবস্থায় সদকা করা ও ভিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাকা ও ভিক্ষা করা প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, ‘উপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম। উপরের হাত দাতার, আর নিচের হাত হলো ভিক্ষুকের।’ (বুখারি-১৪২৯)
ভিক্ষাবৃত্তি পেশাটি এখন মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের সমাজে। সুস্থ-সবল, সুঠাম দেহের অধিকারী মানুষও চাই নারী হোক কিংবা পুরুষ লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে দেদার ভিক্ষা করছে। একটু খেটে খেতে তারা নারাজ। পুঁজিহীন এই ব্যবসায় নেমে রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে, যা বিভিন্ন সময় সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়।
বৈধ এবং সম্মানজনক যেকোনো পেশাকে ইসলাম সমর্থন করে। পরের কাছে হাত না পেতে নিজে উপার্জন করা সম্মানজনক। আল্লাহর বিধান পালনের পর রিজিক তালাশ করাও আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করো। আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমুআ-১০)
এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘অন্যান্য ফরজ আদায়ের পর হালাল উপার্জন করাও একটি ফরজ কাজ।’ (সুনানে কুবরা বায়হাকি-৬/১২৮) আরেক হাদিসে রাসূল সা:কে প্রশ্ন করা হলো- কোন উপার্জন সর্বোৎকৃষ্ট। তিনি বললেন, ‘কোনো ব্যক্তির তার নিজ হাতের উপার্জন এবং প্রত্যেক বৈধ বেচাকেনা।’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকি-৫/২৬৩)। লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম, ময়মনসিংহ, সদর