বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়ানোর পর প্রথমবারের মতো দেশে দেখানো হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের সঙ্গে বিশ্বের আরও তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এটি। সর্বশেষ মন্টেনেগ্রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডও জয় করে সিনেমাটি। এটি যৌথভাবে নির্মাণ করেন অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক ও সুব্রত সরকার।
বাংলাদেশে আয়োজিত প্রথম ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা ডে’তে আরও তিনটি ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্রের সঙ্গে এটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন মনোজ। টেকসই চলচ্চিত্র নির্মাণপ্রক্রিয়া ও পরিবেশবান্ধব চলচ্চিত্র নির্মাণকৌশলের অংশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাঙ্গুয়ার হাওরে ২০২৩ সালে আয়োজিত হয়েছিল ইকো ফিল্ম ল্যাব। যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মানুষ, প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে উপজীব্য করে ল্যাবের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’ নির্মাণ করা হয়।
সিনেমাটির দৃশ্যধারণ হয়েছে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের তীরবর্তী তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর ও এর আশপাশের এলাকায়। নদীদূষণ ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানুষ কীভাবে উল্টো প্রকৃতির প্রতিশোধের শিকার হয়, সেটা নিয়েই ব্যঙ্গাত্মক এ চলচ্চিত্র।
ইকো ফিল্ম ল্যাব নীতিমালার অংশ হিসেবে অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী, বাস্তব লোকেশন, শুধু দিনের আলোর ব্যবহার, খুবই অল্পসংখ্যক কলাকুশলী, সীমিত লোকেশন ও সর্বোপরি অনাড়ম্বর আয়োজনে ‘হইতে সুরমা’ নির্মিাণ করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান চলচ্চিত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সম্পাদনা বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সম্পাদিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রটিতে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার প্রযোজনার পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনায় যুক্ত আছে বাংলাদেশের মনপাচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড অ্যাকশন, জার্মানির মগাদোর ফিল্ম ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ম্যাশ মিডিয়া। ‘হইতে সুরমা’ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিল্লাত হোসেন, ফিরোজ আহম্মেদ, বিজয় দাস, মণিকা দাস, মনজু তালুকদারসহ অনেকে। চিত্রগ্রহণ করেছেন সুপ্তক, সংগীত করেছেন সায়ন্তন।