বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহৃত হলেও সবচেয়ে বেশি আলোচনায় বোধহয় এক্স। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের এই প্ল্যাটফর্মটি নানা কারণে আলোচনা ও সমালোচনার তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি এক্স ছেড়ে সবাই অন্য একটি প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছেন এমনই জানা গেছে। বিশেষ করে আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পরই নাকি দলে দলে মানুষ ইলন মাস্কের এক্স ছেড়ে যাচ্ছেন। শুধু এক্স ছাড়ছেন তাই নয় এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম ব্লুস্কাইতে যোগ দিচ্ছে। ব্লুস্কাই অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতোই একটি প্ল্যাটফর্ম। এমনকি এটি টুইটারের আদলেই তৈরি একটি প্ল্যাটফর্ম বলেই মনে করছেন সবাই। এর একটি কারণও আছে বটে। কারণ হচ্ছে টুইটার নির্মাতা জ্যাক ডরসিই ব্লুস্কাইয়ের নির্মাতা। তবে এখন তিনি এর দায়িত্বে নেই। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো সার্চ বার, নোটিফিকেশন, হোমপেজের মতো সব পরিচিত ফিচার দেখা যায় ব্লুস্কাইতে।ব্যবহারকারীরা এখানে পোস্ট করতে পারেন, কমেন্ট করতে পারেন, রিপোস্ট করতে এবং পছন্দের জিনিসগুলোতে লাইক দিতে পারেন।
তবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ব্লুস্কাইয়ের একটি পার্থক্য রয়েছে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত প্ল্যাটফর্ম। সহজ কথায় বললে ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের ডাটা ব্লুস্কাইয়ের নিজস্ব সার্ভার ছাড়াও অন্যত্র সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে ব্যবহারকারীরা ব্লুস্কাইয়ের নামে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে বাধ্য নন। তারা চাইলে নিজেদের মালিকানাধীন অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করতে পারেন।
তবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন না। নতুন ব্যবহারকারীরা সাধারণত তাদের ইউজারনেমের শেষে ‘.bsky.social‘ যুক্ত করেন। জ্যাক ডরসি মূলত এটিকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম বানাতে চেয়েছিলেন যেটি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকবে না। ব্যবহারকারী নিজের মতোই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে এই প্ল্যাটফর্মটি কিন্তু ২০১৯ সালে চালু হয়েছে। তবে সম্প্রতি এটি আলোচনায় উঠে এসেছে। ইলন মাস্কের ট্রাম্প সমর্থক হওয়ায় সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এক্স ছেড়ে ব্লুস্কাইতে ভিড় করছেন। এই প্ল্যাটফর্মে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বলেই জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির সিইও জে গ্র্যাবার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান