গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার সময় কিবুজ বিরিতে ইসরাইলি হেলিকপ্টার থেকে সেখানে চলমান নোভা মিউজিক ফেস্টিভালে ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। এর ফলে অনেক ইসরাইলি তাদের নিজেদের বাহিনীর গুলিতেই নিহত হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিউজ উইকের খবরে বলা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ইসরাইলি এএইচ-৬৪ অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলো আকাশ থেকে স্থলভাগে ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলিবর্ষণ করছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলি হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষিপ্ত গুলিতে গাড়ি, ট্রাক, মটরসাইকেল এবং উপস্থিত লোকদের আঘাত করছে।
গাজার সীমান্তের কাছে কিবুজ বিরিতে রক্তাক্ত ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইসরাইলি বাহিনী অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের নিজেদের লোকদের হত্যা করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, হামাস যোদ্ধারা যখন বন্দী ইসরাইলিদের নিয়ে যাচ্ছিল, তখন অনেক ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক ‘সন্দেহাতীতভাবেই’ তাদের নিজেদের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই মর্মান্তিকভাবে শিকার হয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের এক তদন্তে সামরিক হেলিকপ্টারের হামলকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। তবে এতে মিউজিক ফেস্টিভালে উপস্থিত অনেকেও আক্রান্ত হয়। এতে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘ঘটনাটি নিয়ে এক তদন্তে দেখা যায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার রামাত ডেভিড ঘাঁটি থেকে এসে সন্ত্রাসীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। হেলিকপ্টারের গুলি সেখানে উপস্থিত কয়েকজন উৎসবকারীকেও আঘাত করে।’
ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪,৪০০ লোক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রায় ১৭ পুলিশ অফিসারসহ ৩৬৪ জন নিহত হয়। হামাস হামলার আগে ওই উৎসব সম্পর্কে জানত না। ফলে সেখানে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। তাদের টার্গেট ছিল নিটকস্থ কিবুজ রেইম এবং গাজা সীমান্তের কাছাকাছি থাকা অন্যান্য গ্রাম। তারা ড্রোন এবং প্যারাস্যুট দিয়ে ইসরাইলে প্রবেশের সময় মিউজিক ফেস্টিভালটির বিষয়টি জানতে পারে। হামাস সেখান থেকে প্রায় ৪০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। হামাসের ওই দিনের হামলায় ইসরাইলে প্রায় ১,২০০ লোক নিহত হয়। তারা প্রায় ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই গাজায় ১২ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজারই শিশু।