প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমবেশি সবাই ডিম সেদ্ধ থেকে শুরু করে অমলেট অথবা নানা পদ রাখেন। বিশেষ করে সকালের নাশতায় ডিম খান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আসলে অল্প খরচের মধ্যে ডিমের থেকে পুষ্টিকর অন্য কোনো খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। তাই তো নিয়মিত এই খাবার খেয়েই দেহের পুষ্টির ঘাটতি মেটাচ্ছেন অগণিত মানুষ।
তবে উপকারী ডিমকে নিয়েও কিন্তু বিতর্কের শেষ নেই। অনেকের ধারণা সেদ্ধ ডিমে বেশি পুষ্টি আবার কেউ কেউ মনে করেন ডিম ভাজা বা অমলেট খেলে বেশি পুষ্টি মেলে শরীরে। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের কী মত? এ বিষয়ে ভারতের এক স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার জানিয়েছেন, একটি ডিম থেকে মেলে প্রায় ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। নিয়মিত ডিম খেলেই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। ডিমে আরও থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, কোবালমিনসহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ।
ডিম সেদ্ধ নাকি অমলেট বেশি পুষ্টিকর এ বিষয়ে পুষ্টিবিদের মত হলো, ডিমের সব ধরনের গুণ পেতে চাইলে সেদ্ধ করে খাওয়ার বিকল্প নেই। অন্যদিকে ডিম ভাজলে তার ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে নিয়মিত অমলেট খেলে কোলেস্টেরল ও ওজন, দুটোই বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। আবার অনেকেই মনে করেন, আধা সেদ্ধ বা হাফ বয়েল ডিম বোধহয় খুব উপকারী। তবে বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। বরং হাফ বয়েল ডিম খেলে শরীরে একাধিক ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ করতে পারে। আর এসব ব্যাকটেরিয়ার ফাঁদে পড়লে বমি, ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে হাফ বয়েল ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। দিনে কতকগুলো ডিম খাবেন? পুষ্টিবিদের মতে, প্রতিদিন একটি পুরো ডিম যে কোনো সুস্থ মানুষ খেতেই পারেন। তাতেই উপকার মিলবে। তবে ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডিম খাবেন। বরং আপনারা দিনে ২টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি/টাইমস অব ইন্ডিয়া