সাধারণত বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটি প্রথা বা রীতি চালু রয়েছে। সেটা হলো ঘরের মাঠে কিংবা ঘরের বাইরে বড় কোনো প্রতিপক্ষ দলকে হারাতে পারলেই ক্রিকেটারদের বোনাস দেয় বিসিবি। এবারো তেমন কিছুর আভাস দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের পূর্ণশক্তির দলকে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জয়টার মহাত্ম অন্য অনেক কারণেই বেশি। কারণ কিউইদেরকে ঘরের মাঠে প্রথমবার টেস্টে হারের স্বাদ দিয়েছে স্বাগতিকরা। এছাড়া সিরিজটিতে নেই অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাদের ছাড়াই তারুণ্য নির্ভর দল নিয়েই বাজিমাত করেছে শান্ত বাহিনী।
বিসিবি সভাপতি আজ রাতে টেস্টজয়ী দলের ক্রিকেটারদের সাথে ডিনার করেছেন। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্রিকেটাররা বোনাস চেয়েছেন কিনা। জবাবে পাপন বলেন, ‘বোনাসের কথা বলে নাই, ওরা শুনতে চেয়েছিল। একদম আসার সময় একজন বলেছিল (বোনাসের কথা)। আমি বলেছি, এটা তো সিরিজ জিতলে পাবে। সিরিজ জিতলে অনেক বড় (অ্যামাউন্ট) পাবে এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এদিকে, প্রথম টেস্ট মাঠে গড়িয়েছে সিলেটের মাটিতে। যেখানে পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেট দেখা গিয়েছিল। আর সেই মাঠের দায়িত্বে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর টমি হেমিং। পাপন তার প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা সিলেটে হয়েছে। সেখানকার উইকেটের কিউরেটরের দায়িত্বে কে ছিল আপনারা জানেন। সে বিশ্বের সেরাদের একজন। এখানে ব্যাটসম্যান, স্পিনার ও পেসারদের জন্য বাউন্সও ছিল, সবই ছিল। এর আগে কিন্তু কখনো এরকম উইকেট দেখিনি। এটা স্বীকার করতেই হবে।’
এদিকে দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরে। পাপন মনে করেন সিরিজ জিততে হলে ভালো খেলেই জিততে হবে, ‘কিন্তু এখন মিরপুরে, আর এখানকার মতো আনপ্রেডিক্টেবল উইকেট আর নেই। সুতরাং সিরিজ জেতার জন্য দুটো অপশন একটা খেলে জিতে যাওয়া। আরেকটা হলো ড্র। ওটাই বললাম যে মিরপুরে ড্র হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মিরপুরের উইকেট ১ বছর ব্রেক দিলে ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু আমরা তো ১ মাসও ব্রেক দেয়ার সুযোগ পাচ্ছি না।’